অবশেষে ইমরুল-তামিমের ‘সেঞ্চুরি’

তামিম ইকবালের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালে। ইমরুল কায়েসের তার পরের বছর। ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা নিয়মিতভাবে করতেন দুই বাঁ-হাতি ওপেনার। এরপর ওয়ানডেতে ইমরুল অনিয়মিত হয়ে পড়লেও এখনো বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটির হিসাব করতে বসলে সবার আগেই আসে তাঁদের নাম। তবে একটা আক্ষেপ থেকেই গিয়েছিল তামিম-ইমরুল জুটির। ইনিংস শুরু করতে নেমে আট বার অর্ধশতকের জুটি গড়লেও শতকের দেখা পাননি তাঁরা। বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে দিয়েছেন তামিম-ইমরুল। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে সফল মুশফিকুর রহিম-সাকিব আল হাসান জুটি। ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৬বার জুটি গড়ে তাঁরা সংগ্রহ করেছেন দুই হাজার ৪৬ রান। মুশফিক-সাকিবের পরই আছেন তামিম-ইমরুল। ৫১ বার জুটি গড়ে তাঁদের সংগ্রহ এক হাজার ৪২৬ রান। তবে উদ্বোধনী জুটির হিসেবে সবাইকে পেছনে ফেলেছে তামিম-ইমরুল জুটি। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৪৭ বার ইনিংসের সূচনা করে তাঁরা সংগ্রহ করেছেন এক হাজার ৩৫৭ রান। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিম-এনামুল জুটি। ১৯ বার উদ্বোধনী জুটি বেঁধে তাঁরা করেছেন ৬৫১ রান।
২০০৮ সালে অভিষেক ম্যাচে তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েছিলেন ইমরুল। ২০১৪ সালে আরো তিন বার দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়তে দেখা গেছে তামিম-ইমরুলকে। বাকি ৪৭ বারই তাঁরা ইনিংস শুরু করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে।
এর আগে ইমরুল-তামিমের সেরা জুটি ছিল ৮০ রানের। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে বুধবার নিজেদেরও ছাড়িয়ে গেছে ইমরুল-তামিম জুটি। ১৭৭ বলে ১৪৭ রানের দারুণ জুটিতে ইমরুলের অবদান ৭৩ রান। আর তামিমের ৬৮।
বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী জুটির তালিকায় তামিম-ইমরুলের এই ১৪৭ রানের অবস্থান পঞ্চম। ১৯৯৯ সালে মেহরাব হোসেন-শাহরিয়ার হোসেনের ১৭০ রান এখনো বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি।