মাশরাফিরা যেখানে সবার চেয়ে এগিয়ে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে প্রতিপক্ষের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে, সে কথা বারবারই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন ম্যাথু হেইডেন, কপিল দেবের মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। এশিয়া কাপে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রমাণ করেছেন যে, বড় সাফল্য পাওয়ার যোগ্যতাও তাঁদের ভালোমতই আছে। আর একটি দিক দিয়ে এরই মধ্যে সবাইকে পেছনেও ফেলে দিয়েছে লাল-সবুজের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অভিজ্ঞতা রাখতে পারে অনেক বড় ভূমিকা। ২০ ওভারের সংক্ষিপ্ত ক্রিকেটে অনেক সময় অভিজ্ঞতা দিয়েই উতরানো যায় কঠিন সব পরিস্থিতি। আর এই অভিজ্ঞতার হিসেবে বাংলাদেশই এগিয়ে আছে সবার চেয়ে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে এমন পাঁচজন খেলোয়াড় আছেন, যাঁরা ২০০৭ থেকে খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে। ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে এমন খেলোয়াড় আছেন তিনজন। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কায় আছেন দুজন করে। পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ায় একজন করে।
তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম; পাঁচজনই খেলতে যাচ্ছেন নিজেদের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরেই খেলেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, যুবরাজ সিং, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইল, তিলকারত্নে দিলশান, শহীদ আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা।
অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের দারুণ মিশেলও আছে বাংলাদেশ দলে। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকারদের মতো তরুণরাও জ্বলে উঠতে পারেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বুধবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বের মিশন।