১ রানের হতাশাজনক হার
অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, নাটকীয় পরিস্থিতি শেষে মাত্র ১ রানের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে। ১৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানে থেমে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। হতাশাজনক এই হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাও কার্যত শেষ হয়ে গেল মাশরাফিদের।
ভারতের বিপক্ষে ভাগ্যের সহায়তাও যেন খুব ভালোমতোই পাচ্ছে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই ভারতের মিস ফিল্ডিংয়ের কারণে চার পেয়েছিলেন তামিম। পঞ্চম বলে তামিমের একটি ফিরতি ক্যাচও তালুবন্দি করতে পারেননি আশিস নেহরা। পঞ্চম ওভারে তামিম পেয়েছেন আরও একটি জীবন। সহজ একটি ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন জাসপ্রিত বুমরা। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ভালোমতোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম ও সাব্বির। কিন্তু অষ্টম ওভারে ৩৫ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন তামিম। দশম ওভারে ২৬ রান করে সাব্বিরও হয়েছেন স্টাম্পিংয়ের শিকার। দারুণ দুইটি ছয় মেরে রান ও বলের ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছিলেন সাকিব। কিন্তু তিনিও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। ১৩তম ওভারে ফিরে গেছেন ২২ রান করে। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাশরাফিও মেরেছেন একটি ছয়। কিন্তু আউট হয়েছেন সেই ছয় রান করেই।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার খেলেছিলেন ২১ রানের ইনিংস। দলকে অনেকখানিই এগিয়ে দিয়েছিলেন জয়ের পথে। সপ্তম উইকেটে ১৯ রানের জুটি গড়ে জয়টা একেবারেই হাতের নাগালে নিয়ে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ রান। প্রথম তিন বলের মধ্যেই দুইটি চার মেরে জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু পরের তিন বলে তিনটি উইকেট হারিয়ে ১ রানের হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুরেশ রায়নার ৩০, বিরাট কোহলির ২৪, শিখর ধাওয়ানের ২৩ রানের ছোট ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ১৪৬ রান জমা করেছিল ভারত। বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।