চিলিকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার ‘প্রতিশোধ’

প্রায় দুই যুগ ধরে বড় কোনো প্রতিযোগিতার শিরোপার মধুর স্বাদ থেকে বঞ্চিত আর্জেন্টিনা। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও জিততে পারেনি। সুযোগ এসেছিল গত বছরের কোপা আমেরিকাতেও। কিন্তু ফাইনালে চিলির কাছে টাইব্রেকারে হেরে আরো একবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়েছিল ম্যারাডোনার দেশকে। তবে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেনি আর্জেন্টাইনরা। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চিলিকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে লিওনেল মেসির প্রত্যাবর্তন রঙিন করে তুলেছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।
এই জয়ের সুবাদে লাতিন আমেরিকার অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলেও বেশ ভদ্রস্থ চেহারায় আর্জেন্টিনা। হার দিয়ে বাছাইপর্ব শুরু করা জেরার্দো মার্তিনোর দল পরের দুই ম্যাচ ড্র করে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। তবে এখন পাঁচ ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের অবস্থান চতুর্থ। সমান ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে শীর্ষে আছে ইকুয়েডর। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে চারটি দল সরাসরি ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। রাশিয়ার টিকেট পেতে পঞ্চম দলটিকে খেলতে হবে প্লে-অফে।
গত সেপ্টেম্বরে বার্সেলোনার হয়ে লা লিগার ম্যাচ খেলার সময় হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। যে কারণে বাছাইপর্বের প্রথম চার ম্যাচেই খেলতে পারেননি তিনি। তবে জাতীয় দলে ফিরে দলের জয়সূচক গোলের নির্মাতা আর্জেন্টিনার অধিনায়কই।
গত জুলাইয়ে সান্টিয়াগোর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হার মানতে হয়েছিল মেসিদের। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে সেই মাঠেই জয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে আর্জেন্টাইনরা। প্রতিশোধটা তাই একেবারেই নিখুঁত!
ঘরের মাঠে চিলিই অবশ্য শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল। একাদশ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন ফেলিপে গুতিয়েরেজ। ম্যাচের শুরু থেকে প্রাধান্য ছিল স্বাগতিকদেরই। কিন্তু ২০ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বাঁক খাওয়ানো দুর্দান্ত শটে সমতা আসার পর ঘুরে যায় ম্যাচের চেহারা। মিনিট পাঁচেক পর অতিথিদের জয়সূচক গোলের জন্ম। বক্সের ভেতর প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে গ্যাব্রিয়েল মেরকাদোকে বল দিয়েছিলেন মেসি। সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল হয়নি আর্জেন্টিনার রাইটব্যাকের। এর পর অনেক চেষ্টা করেও সমতা ফেরাতে পারেনি চিলি।