ক্ষমা চাইলেন ওয়াকার

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমালোচনাটা শুরু হয়েছিল এশিয়া কাপ থেকে। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিছুটা ভালো নৈপুণ্য দেখিয়ে সেই সমালোচনার জবাব দেবেন, এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কিন্তু সেটাও হয়নি। সুপার টেনের চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরে হতাশাজনকভাবে বিদায় নিতে হয়েছে শহীদ আফ্রিদিদের। পাকিস্তানে পৌঁছে বিমানবন্দরেই শুনতে হয়েছে সমর্থকদের দুয়ো। কোচ ওয়াকার ইউনুসকে তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমাই চাইতে হচ্ছে দেশের মানুষের কাছে। দলের প্রয়োজনে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন ওয়াকার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরবর্তী তিনটি ম্যাচে তাদেরকে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তিনটি ম্যাচেই পাকিস্তান হেরেছে খুব হতাশাজনকভাবে। টুর্নামেন্ট চলার সময়ই কোচ ওয়াকার বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্যতা নেই। শেষপর্যন্ত কোচের কথা সত্যি প্রমাণিত করে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দেশে ফিরে সমর্থকদের কাছে ক্ষমাই চাইতে হয়েছে ওয়াকারকে। লাহোরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াকার বলেছেন, ‘আমি পুরো জাতির কাছে হাতজোর করে ক্ষমা চাইছি। আমার সরে দাঁড়ানোর ফলে যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তাহলে আমি সরে দাঁড়াতে দেরি করব না।’
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের পর কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ যায়নি পাকিস্তান সফরে। কয়েক বছর ধরে দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত না হওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেটের ভীত দুর্বল হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন ওয়াকার।
২০১৪ সালে দ্বিতীয় দফায় পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওয়াকার। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এ বছরের মে মাসে। তবে সাম্প্রতিক ব্যর্থতার ফলে তার আগেই কোচের পদ ছাড়তে পারেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।