নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

২০০৭ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। অপরাজিত থেকে শেষ চারের লড়াইয়ে আসায় অনেকেই হয়তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে রেখেছিলেন কিউইদের। কিন্তু ২০০৭ সালের মতো আবারও সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো নিউজিল্যান্ডকে। আর ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল ইংল্যান্ড। জ্যাসন রয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ৭ উইকেটে।
শেষপর্যায়ে দারুণ বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে ১৫৩ রানেই আটকে রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। ১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অনায়াসেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। জয় তুলে নিয়েছে ১৭ বল হাতে রেখেই।
৪৪ বলে ৭৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে দিয়েছিলেন রয়। ১৩তম ওভারে তিনি যখন সাজঘরে ফিরছেন, তখন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪৭ বলে ৪৪ রান। অধিনায়ক ওয়েন মরগান শূন্য রানে বিদায় নিলেও দারুণ ফর্মে থাকা জো রুট আজও ছিলেন ইংল্যান্ডের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন জস বাটলার।
২০০৭ সালের প্রথম আসরের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। অন্যদিকে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো নক আউট পর্বে গিয়েই বাজিমাত করেছিল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে জিতেছিল বিশ্বকাপ শিরোপা। এবারও ২০১২ সালের মতোই এগিয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনাল বাধা পেরিয়ে চলে গেছে ফাইনালে। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে জিততে পারলেই দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারবেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ী দল ফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।