অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট-দম্পতি
শৈশবে ক্রিকেটের সূত্রে দুজনের পরিচয়। ছেলেবেলায় একসঙ্গে খেলতে খেলতে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্ব মোড় নেয় প্রেমে। আর এখন মিচেল স্টার্ক আর অ্যালিসা হিলি স্বামী-স্ত্রী। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার দম্পতি।
মিচেল স্টার্ককে ভালোমতোই চেনেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ের অন্যতম নায়ক স্টার্ক টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য চোটের কারণে খেলতে পারেননি। অ্যালিসা হিলিও স্বদেশে স্বনামধন্য। সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁরই কাঁধে। এ ক্ষেত্রে চাচা ইয়ান হিলির পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তিনি। আশির দশকের শেষ থেকে নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্যন্ত ইয়ান হিলি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সেরা উইকেটরক্ষক।
গত শুক্রবার সিডনিতে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন মিচেল ও অ্যালিসা। বিয়ে উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #স্টিলি নামে একটা হ্যাশট্যাগ খুলেছেন তাঁরা। দুজনের পদবি স্টার্ক আর হিলির প্রথম অংশ মিলেই হয়েছে স্টিলি। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুজনের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই বন্ধুদের নামও ক্রিকেটভক্তদের কাছে অপরিচিত নয়। নেথান লিয়ন, জশ হেজেলউড, প্যাট কামিন্সরা অস্ট্রেলিয়া দলের নিয়মিত সদস্য। অ্যালাইস পেরি খেলেন দেশটির নারী ক্রিকেট দলে।
নয় বছর বয়সে প্রথম দেখা হয়েছিল মিচেল ও অ্যালিসার। একটি টুর্নামেন্টে দুজনে একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছিলেন। পাক-ভারত উপমহাদেশে অসম্ভব হলেও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে খেলা বিরল ঘটনা নয়। মিচেল আর অ্যালিসা একই দলে খেলেছেন দীর্ঘ ছয় বছর। এর পর মেয়েদের ক্রিকেটে চলে যান অ্যালিসা। তবে দুজনের বন্ধুত্ব ছিল অটুট। সেই বন্ধুত্ব থেকেই প্রেমের জন্ম।
দুজনেরই বয়স ২৬ বছর, দুজনই তারকা ক্রিকেটার। তবে ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না মিচেল আর অ্যালিসার মধ্যে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানিয়েছিলেন অ্যালিসা, ‘বাসায় আমরা ক্রিকেট নিয়ে তেমন কথা বলি না। তবে আমরা একদিক দিয়ে ভাগ্যবান। আমরা দুজনই জানি অন্যজন কিসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। তাই কারো কঠিন সময় এলে অন্যজন বুঝতে পারে, ঠিক কী হয়েছে।’