দুঃখিত, বিব্রত তামিম!

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ম্যাচ চলার সময় গত রোববার আম্পায়ারকে গালাগাল করেছিলেন তামিম ইকবাল। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে সেই ম্যাচে আবাহনী অধিনায়কের গালাগালের কারণে আম্পায়াররা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। খেলা তখনই বন্ধ হয়ে যায়। পরে ম্যাচটি স্থগিতও করে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।
আম্পায়ারদের সঙ্গে এই অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন তামিম।
আজ বুধবার নিজের ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ‘গত রোববার বিকেএসপিতে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে ম্যাচে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য আমি সত্যিই খুব দুঃখিত ও বিব্রত। সাময়িক উত্তেজনায় হুট করে সেন্টিমেন্টাল এক্সপ্লোশন হয়ে গিয়েছিল। জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার হিসেবে, অনেক শিশু-কিশোর ও উঠতি ক্রিকেটারের আদর্শ হিসেবে এ রকম করা আমার উচিত হয়নি।’
এর কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে তামিম আরো লিখেছেন, ‘লিগের এমন একটা পর্যায়ে আমরা আছি, যেখানে প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি পয়েন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্তই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে তাই অনেক সময় ক্রিকেটারদের নিজেকে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। মাঠে আমরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিই।’
অবশ্য এর জন্য অজুহাত দাঁড় করাতে চান না জাতীয় দলের এই ওপেনার। তিনি বলেন, ‘আমি অজুহাত দেব না। পরিস্থিতি যেমনই হোক, এ রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো আমার কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। অবশ্যই আরো ভালোভাবে সামলাতে পারতাম পরিস্থিতি। ক্রিকেটানুরাগী, ভক্ত, সমর্থক সবার কাছে আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি।’
অবশ্য ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদনে এগুলোর কিছুই উল্লেখ নেই। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শাস্তি হচ্ছে না বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ওপেনারের?
সিসিডিএমের সমন্বয়ক আমিন খান এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা ম্যাচ রেফারির যে প্রতিবেদন পেয়েছি, তাতে কোনো খেলোয়াড় সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু উল্লেখ নেই। শুধু আম্পায়ারদের অসুস্থতার কারণে খেলা বন্ধ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।’
গত রোববারের সেই ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসের ১৫ দশমিক ৪ ওভারের সময় ব্যাট করছিল প্রাইম দোলেশ্বর। আবাহনীর সাকলাইন সজীবের বলে দোলেশ্বরের রকিবুল হাসানের বিপক্ষে স্টাম্পিংয়ের একটি জোরালো আবেদনে আম্পায়ার গাজী সোহেল সাড়া দেননি। এরপর আবাহনী খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানান।
আবাহনী অধিনায়ক তামিম ইকবাল গালাগাল করেন আম্পায়ারদের। আম্পায়ার গাজী সোহেল ও তানভীর আহমেদ ম্যাচ রেফারি মন্টু দত্তের দ্বারস্থ হন। ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। খেলা তখনই বন্ধ হয়ে যায়। অথচ ম্যাচ স্থগিতের কারণ দেখানো হয়েছে আম্পায়ারদের অসুস্থতা।