সাতক্ষীরায় ইফতার মাহফিলে মুস্তাফিজ সৌম্য
ঘরের ছেলের দেখা মিলছিল না অনেকদিন। আইপিএল জয় করে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি এসেছিলেন। এর পরই আবার ঢাকায়। এবার বাড়ি ফিরেছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করবেন। ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান সাতক্ষীরা ফিরলেন। ইফতার করলেন এক অনুষ্ঠানে।
একই অনুষ্ঠানে একপর্যায়ে যোগ দিয়ে অতিথিদের আনন্দ দ্বিগুণ করে দেন জাতীয় দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার।
মুস্তাফিজ আজ সোমবার ইফতার করেছেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে। পুলিশ সুপারের বাংলোয় তাঁকে স্বাগত জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা। মুস্তাফিজ সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন। বললেন, ‘আমি ভালো আছি।’ ইংল্যান্ডের সাসেক্সে খেলতে যাবেন কবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনো দিন ঠিক করিনি। তবে ঈদের পর ১০ জুলাইয়ের দিকে হতে পারে।’
মুস্তাফিজ বলেন, ‘সবার সঙ্গে একবারে দেখা হয়ে গেল। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
অনুষ্ঠানের মুস্তাফিজের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য লেগে যায় ভিড়। সেলফির পাশাপাশি চলে অটোগ্রাফও। ইফতারে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন,বিজিবির ৩৮ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজামউদ্দিন, মুস্তাফিজের ক্রিকেট শিক্ষক আলতাফ হোসেন, মুফাচ্ছিনুর রহমান তপু, জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বাবা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার, দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক অধ্যাপক আবু আহমেদ, দৈনিক সাতনদী সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
‘আমি আশাবাদী’
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে হাজির হন সৌম্য সরকার। মুস্তাফিজের সঙ্গে আগেই করমর্দন, কোলাকুলি আর কুশল বিনিময়। এ সময় অতিথিদের মধ্যে আনন্দের বন্যা। পুরো বাংলাদেশ ক্রিকেটই যেন সাতক্ষীরায়।
বেশ কয়েক মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা ভালো যায়নি সৌম্য সরকারের। ঘরোয়া ক্রিকেটেও সমীহ জাগানো কিছু হয়নি। ইফতারের ফাঁকে এসব আলাপই উঠে আসে। সৌম্য বললেন, ‘আমার মধ্যে কোনো হতাশা নেই। আমি আশাবাদী।’ এ অনুষ্ঠানের আগে সৌম্যকে যেতে হয় সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে।
ইফতারের পর নৈশভোজের আয়োজনও ছিল। কথাবার্তার ফাঁকে সবার সঙ্গে রাতের খাবারটাও সেরে নিতে হয় মুস্তাফিজ আর সৌম্যকে। পরে মুস্তাফিজ কালিগঞ্জের তেঁতুলিয়া ফিরে যান। আর সৌম্যর বাসা তো শহরেই; কাটিয়ায়।