মৌসুমের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী কমিউনিটি শিল্ড জয়। তারপর প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত সূচনা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যেন হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছিল সাফল্যের আনন্দে। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা ভূপাতিত। আটদিনের ব্যবধানে টানা তিন ম্যাচ হেরে ম্যানইউ যেন এখন ‘ডানা ভাঙা পাখি’। কেন এমন ব্যর্থতা, তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কোচ জোসে মরিনিয়োও।

১০ সেপ্টেম্বর ইপিএলে নগর-প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে ম্যানইউর দুর্দশার শুরু। পাঁচদিন পর ইউরোপা লিগে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডের কাছে ১-০ গোলে হার মেনেছিল ‘রেড ডেভিল’রা। গতকাল রোববার ওয়াটফোর্ডের কাছে হারের ব্যবধান বেশ বড়, ৩-১। দীর্ঘ ৩০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাবকে হারিয়ে ওয়াটফোর্ড এখন উল্লাসে মত্ত।

ঠিক বিপরীত অবস্থা ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। হারের হ্যাটট্রিক করে হতাশ ইপিএলের রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এমন ব্যর্থতার কারণই বুঝতে পারছেন না গত মে মাসে তিন বছরের চুক্তিতে ম্যানইউতে যোগ দেওয়া মরিনিয়ো, ‘কমিউনিটি শিল্ড আর প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচ জিতে মৌসুমটা খুব ভালোভাবে শুরু করেছিলাম আমরা। আমার ধারণা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কোনো নতুন কোচের এটাই সেরা সূচনা। আমি কি ভেবেছিলাম যে আমার দল প্রস্তুত, নিখুঁত, অপরাজেয়? একদমই নয়। আমরা যে নিখুঁত দল নই সে ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ সচেতন। খেলোয়াড়দের ভুল হতেই পারে।’

মরিনিয়োর এখন একটাই লক্ষ্য, ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে দলে সুসময় ফিরিয়ে আনা, ‘খেলোয়াড়রা নেতিবাচক সময়ের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিতে পারে তা নিয়ে আমি চিন্তিত। কয়েকজন ভীষণ চাপের মধ্যে আছে। আমি জানি আমাকে এখন কী করতে হবে। সবার আগে প্রয়োজন দল আর প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উন্নতি। ডিফেন্সের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টাও করতে হবে। তবে আমাদের যে অনেক উন্নতি করতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’

দ্রুত উন্নতিই এখন ম্যানইউর সামনে একমাত্র পথ। কারণ এরই মধ্যে লিগ শিরোপা লড়াই থেকে বেশ পিছিয়ে পড়েছে মরিনিয়োর শিষ্যরা। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ছয় পয়েন্ট পেছনে থেকে তারা এখন লিগের সপ্তম স্থানে।