অ্যাশেজ
ওকসের নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরে এলো ইংল্যান্ড
অ্যাশেজে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়াম ইংল্যান্ডের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। ১৯৮১ সালে ইয়ান বোথাম ফলোঅনে পড়া দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনেছিলেন অপরাজিত ১৪৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে। পরে সেই ম্যাচ ইংলিশরা জেতে ১৮ রানে। ২০১৯ সালে এ মাঠেই বেন স্টোকসের ১৩৫ রানের মহাকাব্যে এক উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এবার শেষাংশের নায়ক ক্রিস ওকস।
দুই রথী-মহারথীর মতো অতটা না হলেও ওকসের অপরাজিত ৩২ রানে ভর দিয়ে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিততে জিততে হেরে যাওয়া ইংল্যান্ড তৃতীয় ম্যাচের চতুর্থ দিনে আজ রোববার (৯ জুলাই) অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেট হারিয়ে টিকে রইলো সিরিজে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ব্যবধান এখন ২-১।
২৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। ২৩ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে লেগ বিফোর হন ডাকেট। ৪৪ রান করা ক্রলি উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিচেল মার্শের বলে। ৫ রান করা মঈন আলীকে বোল্ড করেন স্টার্ক। ২১ রান করে অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের বলে ক্যারির তালুবন্দি জো রুট।
দিনের প্রথম সেশনে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর কোনো উইকেট পড়েনি ইংলিশদের। ৪০ রানে অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান হ্যারি ব্রুক, সঙ্গে ছিলেন ৭ রানে অপরাজিত অধিনায়ক বেন স্টোকস। বিরতি থেকে ফিরে খেলা জমিয়ে তোলেন স্টার্ক। দ্রুত তুলে নেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর উইকেট। স্টোকস ১৩ ও বেয়ারস্টো ফেরেন ৫ রানে।
এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন হ্যারি ব্রুক। মঞ্চটা যখন পুরোপুরি তার হতে চলেছিল, আরও একটা দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় ছিল হেডিংলির দর্শকরা, তখনই আঘাত হানেন স্টার্ক। কামিন্সের ক্যাচ বানিয়ে ৭৫ রানে ব্রুককে ফেরান তিনি। এতে, টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৪তম বারের মতো ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করেন অসি পেসার স্টার্ক।
২৩০ রানে সাত উইকেট হারানো ইংলিশদের চোখ রাঙাচ্ছিল আবারও পা হড়কানোর ভয়। সেই ভয় দূর হয় ওকসের আগ্রাসী ব্যাটে। স্টার্কের বলে মিড অফে চার মেরে জয়ের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন ইংল্যান্ডকে।
দুই ইনিংসে তিনটি করে ছয় উইকেট শিকারের পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ৩২ রান করে ইংলিশদের ম্যাচে ফেরানোর নায়ক তো ওকসই।
এর আগে প্রথম ইনিংসে অসিদের ২৬৩ রানের জবাবে ইংলিশরা থামে ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে। ২৬ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪ রানে অলআউট হলে লিড হয় ২৫০ রানের। ইংলিশদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫১ রানের। সাত উইকেটে ২৫৪ রান করে ইংল্যান্ড।