হলান্ডকে টপকে মেসির বর্ষসেরা হওয়ার নেপথ্যে কী
বিশ্বকাপ জেতার বছরটা স্বপ্নের মতো কেটেছে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির। ২০২২ সালটা আলো ঝলমলে কাটালেও ২০২৩ এ তেমন একটা ঝলক দেখাতে পারেননি মেসি। পারফরম্যান্সের বিচারে তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন আর্লিং হলান্ড আর কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবুও, কেন মেসির হাতেই উঠল বর্ষসেরার পুরস্কার? এ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেসির বর্ষসেরা হওয়ার নেপথ্যের কারণ।
গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে লন্ডনে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করা হয়। মেসি যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। এই নিয়ে মেসি পুরস্কারটি জিতলেন অষ্টমবারের মতো, টানা জিতলেন দ্বিতীয়বার। এই পুরস্কারের জন্য ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সংবাদকর্মী ও বিশ্বব্যাপী ভক্তরা।
ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মেসির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বাকিদের। মেসি ও হলান্ড দুজনেই সমান ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটাভুটিতে। তবে মেসি জিতেছেন জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে এগিয়ে থাকায়। ফিফার ‘রুলস অব অ্যালোকেশন’ এর ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমবাপ্পে ৩৮ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়।
কোচ, সাংবাদিক ও মিডিয়ার ভোটে মেসি থেকে এগিয়ে ছিলেন হলান্ড। তবে আন্তর্জাতিক দলগুলোর টাইয়ের সুবাদে ভাগ্য নির্ধারণ হয় জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে। নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সংখ্যক পাঁচ পয়েন্ট ভোট বা প্রথম স্থানের অধিকারীই হবেন বর্ষসেরা। আর এই শর্তেই ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে যান মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে যেখানে ১০৭ বার প্রথম স্থানে দেখা গেছে, সেখানে হলান্ড প্রথম স্থান দখল করেছেন মোটে ৬৪ বার।
এদিকে, মেসির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে না আসার কারণ জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যমে টিওয়াইসি স্পোর্টস। মূলত, মেসি ইন্টার মায়ামির হয়ে কোনো অনুশীলন মিস করতে চাননি। লন্ডনে গেলে মায়ামির হয়ে চারটি অনুশীলন সেশন মিস করতেন মেসি। প্রাক মৌসুমে মায়ামির হয়ে মাঠে নামার আগে মেসি তেমনটা করতে চাননি।