মেসি-সুয়ারেজ ম্যাজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে মায়ামি
ইউরোপে বা এশিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতোই উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ফুটবলে ক্লাব পর্যায়ে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতা কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ। প্রাইজমানি ছাড়াও এ প্রতিযোগিতার বিজয়ী জায়গা করে নেয় ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। সেই লক্ষ্যে শেষ ষোলের ম্যাচে ন্যাশভিলেকে উড়িয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে মেসির ইন্টার মায়ামি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নিজেদের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের শেষ ষোলো রাউন্ডের দ্বিতীয় লেগে ন্যাশভিলের বিপক্ষে ৩-১ গোলের বড় জয় তুলে নিয়েছে মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টাটা মার্টিনো শিষ্যরা। মায়ামির হয়ে এদিন মেসি-সুয়ারেজ ছাড়াও গোল করেছেন রবার্ট টেইলর।
চলতি মৌসুমে ইন্টার মায়ামির প্রথম হার ডাগআউটে বসেই দেখতে হয় মেসিকে। এমএলএসে মন্ট্রিয়েলের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হারা সেই ম্যাচে মেসিকে মাঠে নামাননি মায়ামি কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনো। তবে যেহেতু চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচ তাই গুরুত্ব বিবেচনায় এ ম্যাচে মেসিকে কেন্দ্র করেই মার্তিনো একাদশ সাজান।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে এগিয়ে ছিল মায়ামি। যার ফল পেতে খুব একটা সময় লাগেনি। ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই সুয়ারেজের গোলে লিড নেয় মায়ামি। মেসির বাড়ানো বলে বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ডুকে দারুন ফিনিশিংয়ে জালে বল জড়ান উরুগুয়ের এই তারকা স্ট্রাইকার। এরপর আরও বেশি কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি মায়ামি।
ম্যাচের ২৩তম মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে গোমেজের বাড়ানো বলে গোল করে বসেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। মেসির এই গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মায়ামি। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আরও বেশকটি আক্রমণ করলেও তা গোলের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মায়ামি।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে মায়ামি। যার ফল পেয়ে যায় ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে। সুয়ারেজের মাপা বলে দারুণ এক হেড করে দলকে এগিয়ে নেন টেইলর। অতিরিক্ত সময়ে সারিজের কল্যাণে এক গোল পরিশোধ করে ব্যবধান কমায় ন্যাশভিলে। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি।
এমএলএসের পঞ্চম ম্যাচে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচেও খেলবেন মেসি। তারপর যোগ দেবেন ফিলাডেলফিয়ায় আর্জেন্টিনা শিবিরে। ২২ মার্চ এল সালভাদরের বিপক্ষে প্রীতি তথা কোপার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।