কলকাতার দুরন্ত বোলিংয়ে কোণঠাসা হায়দরাবাদ
টস হেরে বোলিং পাওয়া কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার বলেছিলেন—আমরা বোলিংই চেয়েছিলাম। অধিনায়কের সেই কথাটিকে যেন ভীষণ গুরুত্ব দিলেন মিচেল স্টার্ক। পুরো আসরে আহামরি না খেলা স্টার্ক জ্বলে উঠলেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে আজ মঙ্গলবার (২১ মে) মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
পুরো আসরে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা হায়দরাবাদ আজ বোধহয় ব্যাট করতেই ভুলে গেছে। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলটির সংগ্রহ ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান।
ট্রাভিস হেডকে ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই বোল্ড করেন স্টার্ক। কোনো রান না করেই স্বদেশীর বলে সাজঘরে ফেরেন হেড। হায়দরাবাদের আরেক পাওয়ার হিটার ওপেনার অভিষেক শর্মাকে ফেরান ভৈভব অরোরা। চার বলে তিন রান করে আন্দ্রে রাসেলের তালুবন্দি হন অভিষেক। ১৩ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ।
রাহুল ত্রিপাঠি ও নিতিশ কুমার যেই না ইনিংস মেরামতে নজর দিচ্ছিলেন, ফের আঘাত হানেন স্টার্ক। ৯ রান করা নিতিশকে উইকেটের পেছনে রহমতউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ বানান। স্টার্ক পরের বলে বোল্ড করেন শাহবাজ আহমেদকে। রানের খাতা খোলার আগেই মিডল স্ট্যাম্প উড়ে যায় শাহবাজের। ৩৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারাতেই পড়ে যায় হায়দরাবাদ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে হায়দরাবাদকে পথ দেখান হেনরিখ ক্লাসেন ও ত্রিপাঠি। আসরজুড়ে দুর্দান্ত খেলা দুজন কলকাতার বিপক্ষে কাউন্টার অ্যাটাকে যায়। দ্রুতগতিতে রান তোলেন দুজনই। এই জুটি পার করান দলীয় ১০০ রান। ২১ বলে ৩২ করে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ক্লাসেন। তাকে বিদায় করেন বরুণ চক্রবর্তী। রিঙ্কু সিংয়ের ক্যাচে পরিণত করেন ক্লাসেনকে। ৩৫ বলে ৫৫ রান করে রানআউটের শিকার হন ত্রিপাঠি। সঙ্গে থামে হায়দরাবাদের বড় ইনিংস খেলার স্বপ্ন। শেষ দিকে একা লড়াই করেছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তার ২৪ বলে ৩০ রানে দেড়শ পার করে দলটি।
কলকাতার পক্ষে ৩৪ রানে তিন উইকেট নেন স্টার্ক। ২৬ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট পান বরুণ।