যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে সাকিবের অদ্ভুত অজুহাত
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অচেনা পরিবেশে বৈশ্বিক লড়াই। তাই কন্ডিশন ও বাড়তি প্রস্তুতির জন্যই স্বাগতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন। আরও স্পষ্ট করে বললে—যে সিরিজটা হওয়ার কথা স্রেফ নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সেই সিরিজই কিনা অচেনা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল বাংলাদেশের!
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রস্তুতি নেওয়ার সিরিজে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং দৈন্যতায় স্বাগতিকদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি শান্তরা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছেন উইকেটে। ফলাফল ৬ রানের হার। এই হারে অবশ্য, আরেকটি লজ্জার রেকর্ডের সঙ্গে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। সেটি হলো, ক্রিকেটের প্রথম দল হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারের সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়ল লাল-সবুজের দল।
আইসিসি র্যাপঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বরে থাকা দলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন শান্তরা। মাত্র ২৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির অভিজ্ঞতা থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ।
এমন হারের পর প্রথমে মানসিক সমস্যার অজুহাত আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার আরও অদ্ভুত অজুহাত দিলেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাজে হারের জন্য কম অনুশীলন করাকে দুষলেন সাবেক এই অধিনায়ক।
বৃহস্পতিবার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিব বলেন, ‘আসলে এটা যদি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ধরে থাকি তাহলে আমাদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের আরও বেশি সেশন হওয়া দরকার ছিল। ফ্যাসিলিটি আরও বেশি থাকা দরকার ছিল। এগুলার কিছুই আমরা পাইনি। একদিন প্রপার নেট সেশন হয়েছে। যেখানে ব্যাটাররা পুরোপুরি সুযোগ পায়নি। এখানে দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে। এক দিন বৃষ্টির জন্য পারিনি। এখানে ৪টা মাঠ আছে। আমরা ৩টা পিচে ব্যাট করতে পেরেছি। এই জিনিসগুলা আরও বেটার হতে পারত।’
সাকিবের আগে বাংলাদেশকে লজ্জায় ডোবানোর পর শান্ত বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, স্কিলে কোনো সমস্যা নেই। মানসিকতা ও মনোবৃত্তি বদলাতে হবে আমাদের। গত দুই ম্যাচে আমরা তা করতে পারি ও ভালো খেলতে পারিনি।’
গত রাতে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের জন্য মিডল অর্ডারকে দুষছেন অধিনায়ক। তার মতে, ‘আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা প্রায় প্রতি ওভারেই উইকেট হারিয়েছি। ম্যাচ হারার মূল কারণ এটিই।’