রশিদের বোলিং ছাপিয়ে ভারতের শক্ত পুঁজি
সুপার এইটের লড়াইয়ে আফগান স্পিন নিয়ে বড় শঙ্কায় ছিল ভারত। মূল লড়াইয়ে সেই স্পিনের ফাঁদেই পড়ল রোহিত শর্মার দল। রশিদ খানের স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কোহলি-পন্থরা। টপ অর্ডারের ধাক্কার পর ভারতকে উদ্ধার করেন সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের চেষ্টায় আফগানিস্তানকে ১৮২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান করেছে ভারত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান এসেছে সূ্র্যকুমারের ব্যাট থেকে।
বার্বাডোজে ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনিই কাটা পড়েন সবার আগে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফজল হক ফারুকির বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রোহিত। ১৩ বলে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি ভারতীয় অধিনায়ক।
দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য সেই চাপ দারুণভাবে সামলে নেন রিশাভ পন্থ ও বিরাট কোহলি। পাওয়ার প্লেতে এই জুটির দাপট ছিল দারুণ। পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই এই জুটি ভেঙে আফগান শিবিরে স্বস্তি ফেরান রশিদ খান। উইকেটে চড়াও হওয়া পন্থকে এলবির ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন রশিদ। ১১ বলে ২০ রান করেন পন্থ। নবম ওভারে কোহলিকেও বিদায় করেন রশিদ। ২৪ বলে ২৪ রান করে ফেরেন কোহলি।
নিজের তৃতীয় ওভারে শিভাম দুবেকেও ফাঁদে ফেলেন রশিদ। দুবেকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়ে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেন তিনি। ৯০ রানে চার উইকেটে হারানোর পর উইকেটে ভারতের শেষ আশা সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়া। এই দুজন মিলেই লড়াইয়ে ফেরান ভারতকে। বিশেষ করে চেনা ছন্দে ছিলেন সূর্যকুমার। তার ২৮ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর পান্ডিয়ার দায়িত্বশীলতায় লড়াইয়ের পুঁজি পায় ভারত। ২৪ বলে ৩২ রান করেন পান্ডিয়া।
আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন রশিদ খান। ৩৩ রান খরচায় ফারুকির শিকারও তিন উইকেট।
চলতি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে টানা জয় পেলেও খুব একটা ফেভারিটের তকমা ধরে রাখতে পারেনি ভারতের। নিউইয়র্কের পিচে মোটেই জ্বলে উঠতে পারেননি রোহিত-কোহলিরা। আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও জিততে ভুগতে হয়েছে তাদের। পাকিস্তানের কাছেও হারতে হারতে শেষ পর্যন্ত মেলে জয়ের দেখা। এবার আফগানদের সামনেও জ্বলে ওঠেনি ভারতের টপ অর্ডার।