বিশ্বকাপের সুপার এইট
টিকে থাকার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত
গ্রুপপর্বে যেভাবে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ, সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে তা দেখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ শুক্রবার (২১ জুন) হার দিয়ে শেষ আট শুরু করে বাংলাদেশ। খেলায় কোনো লড়াই করতে পারেননি শান্ত-সাকিবরা। অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে অসিরা।
তিন ম্যাচের প্রথমটি হেরে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে এখন টিকে থাকার চেষ্টা। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়।
বাংলাদেশ হেরে গেলেও প্রতিপক্ষ ভারত সুপার এইট শুরু করেছে দুর্দান্ত জয় দিয়ে। আফগানিস্তানকে ৪৭ রানে হারিয়ে এই পর্ব শুরু করেন রোহিত-কোহলিরা। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ বরাবরই সমৃদ্ধ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং আক্রমণ তাদের। যুক্তরাষ্ট্রে পিচের দোষে খারাপ খেললেও সুপার এইটের শুরুতেই ১৮১ রানের ইনিংস খেলে দলটি। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তাই এটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বোলারদের চ্যালেঞ্জের চেয়ে বেশি ভাবনার বিষয় ব্যাটারদের রানে ফেরা। বড় মঞ্চে রান করতে না পারলে লড়াই করা মুশকিলই হবে। আর ভারতের বিপক্ষে হারলে নিশ্চিত হবে বিদায়। টিকে থাকতে হলে দলগত পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের সামনে। কারণ, বোলাররা নিজেদের যথেষ্ট প্রমাণ করেছে চলমান আসরে। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের তিন জয়েই তাদের অবদান।
শক্তির পার্থক্য, র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান, সঙ্গে ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিবেচনায় নিলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবধান পাহাড়সম। তবে, গত কয়েক বছরের মুখোমুখি লড়াইয়ে দৃষ্টি ফেরালে অন্যরকম এক চিত্রই ফুটে ওঠে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রতিবেশি দুই দেশের মুখোমুখি লড়াই রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে।
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ হারা বাংলাদেশের হাতে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। ভারত ও আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে সেমি ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। সেই প্রসঙ্গে শান্ত বলেন, ‘আমাদের হাতে দুই ম্যাচ আছে। সেগুলো থেকে পাওয়ার অনেক কিছু আছে। দুটি ম্যাচ জিততে পারলে আমরা আরও ভালো অবস্থানে যেতে পারব। প্রতিটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। জেতার জন্যই আমরা খেলি।’