বাংলাদেশ থেকে কি সরেই যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপ?
দিন যত গড়াচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে ততই পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আয়োজকের তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ের নাম। এ ছাড়া দৌড়ে আছে সংযুক্ত আমিরাত। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) স্থবির অবস্থায় অনেকটা হাত ফঁসকে যেতে বসেছে আসন্ন বিশ্বকাপ।
আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) একদল সমর্থক দাবি নিয়ে হাজির হয় বিসিবির সামনে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গেটের সামনে সকাল ১১টা থেকে একদল সমর্থক বিসিবির পরিচালকদের পদত্যাগ ওসংস্কারের দাবি নিয়ে মানববন্ধন করে। সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত সেখানেই চলে আন্দোলন।
এই চিত্রগুলো বিশ্বকাপের জন্য হুমকিরই বটে। এরই মধ্যে নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কয়েকটি দেশ। যার মধ্যে আছে অংশগ্রহণকারী দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। তাছাড়া বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবির বেশিরভাগ পরিচালক আত্মগোপনে থাকার কারণে মোটামুটি স্থবির বিসিবির কার্যক্রম।
জানা গেছে, বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান নাকি পদত্যাগের ব্যাপারে রাজি। এ ছাড়া গঠনতন্ত্র মেনে পুরোনো কয়েকজনকে রেখে নতুন করে পর্যলোচনা পর্ষদ সাজানোর পরিকল্পনাও চলছে। যদিও কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন হয় সেটা এখনও অনিশ্চিত।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের ক্ষণ ঘনিয়ে এসেছে। তাই আয়োজক দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আইসিসি। বিকল্প পথও খুঁজচ্ছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিসিবির শীর্ষ কর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের কোনো আশা দেখছেন না তিনি। বারবার এমন মানববন্ধন আদতে ক্রমেই বাংলাদেশকে আয়োজক হওয়া থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে সরে গেলে আপাতত স্বাগতিক হওয়ার সম্ভাব্য লড়াইয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিম্বাবুয়ে। দুই দেশের কোনোটিই এই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। তারা টুর্নামেন্ট আয়োজনে আগ্রহের কথা আইসিসিকে জানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ না হয় তাহলে এই দুটি দেশের যে কোনোটিতেই হতে পারে বিশ্বকাপ। যদিও আয়োজকের দৌড়ে এগিয়ে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।