পাঁচ ম্যাচের চারটিতে হার, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ খেলা কতটা কঠিন?
আমরা ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। আমরা হব দুই ফাইনালিস্টের একটি। আপনারা এখন এটা নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে পারেন। কিন্তু, আমার কোনো সন্দেহ নেই। আমরা ফাইনালে যাব—কথাগুলো বলেছেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র।
কোচ যখন ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন তখন কোয়ালিফায়ার রাউন্ডেই খাবি খাচ্ছে ব্রাজিল। শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হার দেখেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এখন পর্যন্ত বাছাইপর্বে মোট ৮ ম্যাচ খেলে মাত্র তিনটিতে জয় দেখেছে ব্রাজিল, একটিতে ড্র। ১০ দলের বাছাইয়ে তাদের অবস্থান এই মুহূর্তে পাঁচ নম্বরে। পরিসংখ্যান বলছে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে এতটা খারাপ শুরু আগে কখনও হয়নি ব্রাজিলের।
যদিও কাগজে কলমে এখনও ব্রাজিলের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। তবে, মাঠে যে সময়টা কাটছে ব্রাজিলের তাতে কোচ দরিভালের ফাইনাল খেলার আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা নিশ্চিতভাবেই লাগার কথা। তাছাড়া সামনের ম্যাচেও ব্রাজিলকে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। আগামী ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় চিলির মুখোমুখি হবে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচটিতে জিততে পারলে প্রথম চক্রে সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্ট তুলতে পারবে দলটি। কিন্তু চিলির বিপক্ষে যে সেটা সহজ হবে না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ ছাড়া প্রতি মাসে দুটি করে ৯ দলের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলতে হবে ব্রাজিলকে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাছাইপর্বে মোট ১৮টি করে ম্যাচ খেলে ফেলবে প্রতিটি দল। এর মধ্যে টেবিলের শীর্ষে থাকা ছয় দল যাবে বিশ্বকাপে। সেই হিসেবে পাঁচ নম্বরে থাকা ব্রাজিলের আশা টিকে থাকলেও সামনে প্রতিটি ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের।
বাছাইপর্বের বাকিপথ যে ব্রাজিলের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে সেটার আঁচ টের পেয়েছেন দলটির অধিনায়ক মারকুইনহোসও। আজ বুধবার ভোরে চাকো ডিফেন্ডার্স স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে প্যারাগুয়ের কাছে হারের পর সেই কথাই শোনালেন তিনি।
ব্রাজিলের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে উল্লেখ করে ব্রাজিল অধিনায়ক বলেছেন, ‘আসলে এখন আমাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। আমরা ম্যাচ জিতে তাই আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। সর্বশেষ ম্যাচে আমরা এটাতেই গুরুত্ব দিয়েছি, কিন্তু আজ তা (আত্মবিশ্বাস) তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছি। বাছাইপর্ব কত কঠিন সেটা আমরা জানি।’