চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আলো কাড়তে পারেন যারা

ঘণ্টা কয়েকের অপেক্ষা। এরপরই পর্দা উঠছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আলোচনায় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যারা ব্যাট-বল হাতে দ্যুতি ছড়াতে পারেন আসরজুড়ে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারা সেই তারকা....
ফখর জামান : পাকিস্তানের এই বাঁহাতি ওপেনার ২০১৭ আসরের ফাইনালে দারুণ ছন্দে ছিলেন। তার শতরানের ইনিংসে ভর করেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান। এবারের আসরেও তার দিকে নজর থাকবে। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। এবারের আসরেও তার জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় সমর্থকরা।
ড্যারিল মিচেল : নিউজিল্যান্ডের এই তারকা ক্রিকেটার ২০২৩ বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন। ৬৯ গড়ে করেছিলেন ৫৫২ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের মাটিতে ৫১.৭০ গড়ে করেছেন ৫১৭ রান। মিডল অর্ডারে কিউইদের আস্থার নাম এই ক্রিকেটার। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও দারুণ কিছু করতে মুখিয়ে এই তারকা ক্রিকেটার।
হেনরিখ ক্লাসেন : দক্ষিণ আফ্রিকান এই ক্রিকেটারকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আইপিএল ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার বিধ্বংসী ব্যাটিং মনজয় করেছে সবার। ওয়ানডে ফরম্যাট হলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তার ওপর বাড়তি নজর থাকবে। ছন্দে থাকলে যে কতটা ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারেন ক্লাসেন, তা সবারই জানা।
শ্রেয়াস আইয়ার : এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন শ্রেয়াস আইয়ার। সদ্য সমাপ্ত ইংল্যান্ড সিরিজেও ছিলেন ছন্দে। ১২৩.১ স্ট্রাইক রেটে মিডল অর্ডারে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেছেন ১৮১ রান। রোহিত-কোহলিদের পাশাপাশি শ্রেয়াস ছন্দে থাকলে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা করতে পারেন সমর্থকরা।
বেন ডাকেট : ইংল্যান্ডের ব্যাটার বেন ডাকেট টপ অর্ডারে দারুণ শুরু এনে দিতে পারেন। ভারত সিরিজে খুব একটা ছন্দে না থাকলেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দারুণ কিছু করতে পারেন তিনি, এমনটাই বিশ্বাস ক্রিকেটবোদ্ধাদের। জস বাটলার, জো রুটরা দলকে কতটা এগিয়ে নিতে পারবেন, তা নির্ভর করছে ডাকেটের শুরুর ওপর। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১২২.৪২ স্ট্রাইক রেটে ১৩১ রান করেছিলেন তিনি।
নাহিদ রানা : ব্যাটারদের পাশাপাশি চোখ থাকবে বোলারদের ওপরও। যে তালিকায় আছেন বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানা। ২২ বছর বয়সী এই পেসার গত বছর পাকিস্তান সিরিজে খুব বেশি উইকেট না পেলেও দারুণ বোলিং করেছিলেন। তাই কন্ডিশন একই হওয়ায় দারুণ কিছুর আশা দেখাচ্ছেন নাহিদ। মাঝের ওভারে গতি দিয়ে ব্রেক থ্রো আনার সামর্থ্য আছে তার। বাংলাদেশ বড় কোন চমক দেখালে সেখানে নাহিদের অবদান থাকতে পারে।
বরুন চক্রবর্তী : আইপিএলের পাশাপাশি জাতীয় দলেও দারুণ ছন্দে আছেন ভারতীয় অফ স্পিনার বরুন চক্রবর্তী। ব্যাকআপ ওপেনার যসশ্বী জয়সওয়ালকে বাদ দিয়ে তাকে দলে নেয় ভারত। ৩৩ পেরুনো বরুন মাত্র একটি ওয়ানডে খেললেও দুবাইয়ে খেলা হওয়ায় বেশ কার্যকরী হতে পারেন তিনি। ব্যাটার কমিয়ে বরুনকে দলে নেওয়ার কারণ হিসেবে কোচ গৌতম গম্ভীর মাঝের ওভারের কার্যকারিতার দিক ইঙ্গিত করেন।