কামিন্সের গতিতে পরাস্ত, অল্প রানেই গুটিয়ে গেল প্রোটিয়ারা

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সেশনের প্রতিরোধ, মুখে থুবরে পড়লো দ্বিতীয় সেশনে এসে। অস্ট্রেলিয়ার পেস আগুনের সামনে দাঁড়াতেই পড়েনি প্রোটিয়ারা। আগের সেশনে মাত্র এক উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ উইকেট নিয়েও শেষ করতে পারেনি দ্বিতীয় সেশন। অলআউট হয়ে এখন ম্যাচ হারের শঙ্কায় টেম্বা বাভুমার দল।
২১২ রানের জবাব দিতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রানেই গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৭৪ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চা বিরতির আগ পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলেছে অসিরা। সবমিলিয়ে তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১০৬ রানের। ১৬ রান করে অপরাজিত আছেন মার্নাস লাবুশেন আর স্টিভেন স্মিথ ৫ রানে।
দ্বিতীয় সেশনে মাত্র ২ রান যোগ করতেই প্যাট কামিন্সের বলে ফেরত যান কেইল ভেরেইন্না। এর আগে ৩৯ বলে করেন ১৩ রান। এরপরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং লাইন। কোনো রান না করেই ফিরে যান মার্কো ইয়ানসেন। হাফসেঞ্চুরির দিকে ছুটে চলা ডেভিড বেডিংহ্যামকে ফেরান কামিন্স। ৬ চারে ১১১ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। বেডিংহ্যামকে ফিরিয়েই ফাইফার তুলে নেন কামিন্স। এরপর রান আউটে কাটা পড়েন কেশব মাহারাজ (১৫ বলে ৭)। ৬ বলে ১ রান করা রাবাদাকে ফিরিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন কামিন্স।
৪ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে প্রোটিয়ারা। এদিন সকালটা নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার বাভুমা আর বেডিংহ্যাম। সতর্কতার সঙ্গেই ইনিংস বড় করতে থাকেন তারা। দ্বিতীয় দিনে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। চোখ রাঙাচ্ছিলেন অসিদের ওপর। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনের শেষদিকে বাভুমাকে ফিরিয়ে ভয়ংকর হতে থাকা সেই জুটি বেঙে দেন প্যাট কামিন্স। লাবুশেনের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ককে। ফেরার আগে বাভুমা ৪ চার আর এক ছক্কায় ৮৪ বলে করেন ৩৬ রান।
বাভুমা ফিরলেও প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেট হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভেরেইন্নাকে নিয়ে প্রথম সেশনের বাকি সময় কাটিয়ে দেন বেডিংহ্যাম। কিন্তু সেই জুটি ভাঙতেই সব এলোমেলো হয়ে যায়।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১২ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম (৬ বলে ০), রায়ান রিকেল্টন (২৩ বলে ১৬), উইয়ান মুল্ডার (৪৪ বলে ৬) আর ট্রিস্টান স্টাবসরা (১৩ বলে ২)।