এশিয়া কাপ
ফাইনালের দুয়ার খুলতে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত

এশিয়ার ক্রিকেটে একসময় ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ ছিল সবচেয়ে বড় মহারণ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই দ্বৈরথে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ। মাঠের খেলায় এখন ভারতকে চোখে চোখ রেখে কথা বলে বাংলাদেশ। বাইশ গজের লড়াই ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝে। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারতের সেই দ্বৈরথ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ আর ভারত। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। সরাসরি খেলা দেখা যাবে টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। অনলাইনে টফি আর ট্যাপম্যাড অ্যাপে।
গ্রুপ পর্বের সাদামাটা পারফরম্যান্স ছাপিয়ে সুপার ফোরে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে উন্মোচন করেছে ফাইনালের সম্ভাবনা। এবার ভারতকে হারাতে পারলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা। তবে সেটি নিশ্চিতভাবেই সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য।
অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে, এশিয়া কাপে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এরমধ্যে মাত্র দুই ম্যাচে জয়ে পেয়েছে বাংলাদেশ, বাকি ১৩টি ম্যাচই জিতেছে ভারত। এশিয়া কাপে টি-টোয়েন্টিতে দুইবার দেখা হয়েছিল দুই দলের। ২০১৬ সালে দুই ম্যাচই হেরেছিল টাইগাররা।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও বেশ ভালো টি-টোয়েন্টির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের। চলমান এশিয়া কাপে এখনো কোনো ম্যাচ হারেনি তারা। দুইবার হারিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানকে। টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান দল ভারত।
তবে র্যাঙ্কিং কিংবা অতীত পরিসংখ্যানই সব নয়। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত খেলা টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট দিনে যে দল ভালো খেলবে জয়টা তারাই পাবে। আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও সেটাই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সব দলেরই ভারতকে হারানোর সক্ষমতা আছে। খেলাটা হয় একটা নির্দিষ্ট দিনে। ভারত আগে কী করেছে, সেটা তখন কোনো কাজে আসে না। ম্যাচের দিন, সেই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হলো—সেটাই আসল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব, ভারতের ভুলের অপেক্ষায় থাকব। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’
ভারতের বিপক্ষে জয়ের জন্য শুধু ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং নয়, তিন বিভাগেই পারফর্ম করতে হবে বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ে দায়িত্ব নিতে হবে লিটন দাস-তাওহিদ হৃদয়দের। আগের মতোই পারফর্ম করতে হবে তানজিদ তামিম-সাইফ হাসানদের।
পুরো এশিয়া কাপেই ভারতের ব্যাটিংয়ের বড় ভরসার নাম ছিল দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। প্রতিটি ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছে দলকে। বিশেষ করে পাওয়ার-প্লেতে সব দলের জন্যই দুঃশ্চিন্তার কারণ ছিলেন তারা। তাই এ ম্যাচে বোলারদেরও দিকেও বিশেষ নজর থাকবে।
ভারতের বিপক্ষে পরিবর্তন আসতে পারে বাংলাদেশের একাদশেও। সর্বশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার একাদশে বিপক্ষে একাদশে ফিরলেও দলের চাহিদা পূরণ করতে পারেননি বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তার পরিবর্তে একাদশে ফিরতে পারেন তানজিম হাসান সাকিব।