ম্যাচ জিততে যে দাবি জানালেন রাকিব

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উল্টো গোলহজম করে বসে বাংলাদেশ। তার ওপর প্রথমার্ধেই পরিণত হয় ১০ জনের দলে। শেষ মিনিটের খেলা বাকি, তখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। সবাই হয়ত ভেবেই নিয়েছিল, এ ম্যাচেও হারছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ঠিক তখনই দলের কাণ্ডারি হয়ে আসেন রাকিব হোসেন। ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান এই ফরোয়ার্ড। যদিও বাকি সময়ে আর কোনো গোল পায়নি বাংলাদেশ। ফলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ আক্ষেপই করতে দেখা গেল রাকিবকে।
এদিন হংকংয়ে বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলেছে ৪০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে। অন্যদিকে, ভালো মাঠের অভাব বাংলাদেশের বহু পুরনো। অনেকদিন পরে জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল ফিরলেও এ মাঠে দর্শক ধারণক্ষমতা ১৮ হাজার। রাকিব তাই দাবি করলেন ভালো একটি মাঠের। তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামটি বেশ আলাদা। বেশ প্রতিকূলকতার মধ্যে আমাদের খেলতে হয়। এরকম মাঠ আমরা ডিজার্ভ করি। মাঠ থাকলে ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে পারতাম।’
গোল করেও দলকে জেতাতে না পারায় আক্ষেপ ঝড়েছে তার কণ্ঠে। রাকিব বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমত গোল করছি। বাংলাদেশের জার্সি পরাই অনেক গর্বের, সেখানে অবশ্যই গোল করা আনন্দের। এটা দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট করছি। এর ফল হিসেবে ড্র করতে পারছি। আজ অনেক সুযোগ মিস করছি না হলে জিততেই পারতাম।’
একজন নম্বর নাইনের অভাব বাংলাদেশ দলে অনেক দিনের। প্রায়ই গোল মিস করে বসেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। হংকংয়ের বিপক্ষে এদিনও বাংলাদেশ ব্যতিক্রম কিছু করেনি। এর ওপর প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ম্যাচ হারে। সেসব নিয়েও আক্ষেপ ঝড়ল রাকিবের কণ্ঠে।
রাকিব বলেন, ‘প্রথম ম্যাচ (হোম) আমরা ড্র করতে পারতাম। আজকের ম্যাচটি জিততে পারতাম। আজ আমরা ১১ জনই ভালো খেলেছি এবং ভালো খেলা উপহার দিয়েছি, যদিও সিলি মিসটেকে গোল কনসিড করেছি।’