সিরিজজুড়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে থাকা ইংল্যান্ড শেষ ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। এ ম্যাচেও ব্লেয়ার টিকনারের পেস আগুনে পুড়ল ইংলিশ ব্যাটাররা। এরপর সহজ লক্ষ্য তাড়া করে জয় তুলে নিয়ে ৪২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো নিউজিল্যান্ড।

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সিরিজের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪০.২ ওভারে ২২২ রান তুলে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩২ বল বাকি থাকতেই ২ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড।

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে ৪২ বছর পর ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করল কিউইরা। এর আগে কেবল ১৯৮৩ সালেই ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ জিতেছিল তারা।

শেষ দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়ের নায়ক আড়াই বছর পরে দলে সুযোগ পাওয়া টিকনার। দ্বিতীয় ম্যাচেও ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচেও তুলে নিলেন ৪ উইকেট। দুই ম্যাচেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তিনি। আর দুই হাফসেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৭৮ রান করা ড্যারিল মিচেল জিতে নেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।

মাঝারি রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করেছিল নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার মিলেই তুলে ফেলেছিলেন ৭৮ রান। ৪৪ বলে ৩৪ রান করা ডেভন কনওয়ে রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙ্গে সেই জুটি। এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

ফিরে যান রাচিন রবীন্দ্র (৩৭ বলে ৪৪), উইল ইয়াং (৩ বলে ১) ও টত লাথাম (২২ বলে ১০)। তবে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান সিরিজ সেরা হওয়া ড্যারিয়েল মিচেল। ৬৮ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন তিনি। শেষদিকে জ্যাক ফোকস ২৪ বলে ১৪ ও টিকনার ২০ বলে ১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জ্যাকব ডাফির তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। তার সঙ্গে যোগ দেন ফোকস। এই দুইজনের বোলিং তোপে মাত্র ৪৪ রানেই ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। টপঅর্ডারের  চার ব্যাটারের মধ্যে একজনও দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। জেমি স্মিথ ৬ বলে ৫, বেন ডাকেট ১২ বলে ৪, জো রুট ৩ বলে ২, হ্যারি ব্রুক ১১ বলে ৬ রানে ফেরেন।

মাঝখানে জেমি ওভারটনের ৬৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ২২২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। এটিই ইংল্যান্ডের ইনিংসের ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান। এর বাইরে বাটলার ৫৬ বলে ৩৮ ও ব্রাইডন কার্স ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড : ৪০.২ ওভারে ২২২/১০ (স্মিথ ৫, ডাকেট ৮, রুট ২, ব্রুক ৬, বেথেল ১১, বাটলার ৩৮, কারান ১৭, ওভারটন ৬৮, কার্স ৩৬, আর্চার ১৬, রাশিদ ১*; ডাফি ১০-০-৫৬-৩, ফোকস ৮-১-২৭-২, স্মিথ ৬-০-৪০-০, টিকনার ১০-০-৬৪-৪, স্যান্টনার ৬.২-০-৩৪-১)

নিউজিল্যান্ড : ৪৪.৪ ওভারে ২২৬/৪ (কনওয়ে ৩৪, রাভিন্দ্রা ৪৬, ইয়াং ১, মিচেল ৪৪, ল্যাথাম ১০, ব্রেসওয়েল ১৩, স্যান্টনার ২৭, স্মিথ ২, ফোকস ১৪*, টিকনার ১৮*; আর্চার ১০-২-৫৩-০, কার্স ১০-০-৬০-১, ওভারটন ১০-১-৩২-২, কারান ৮.৪-১-৪৬-২, রাশিদ ৬-০-৩২-১)

ফলাফল : নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ : ব্লেয়ার টিকনার

সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ী নিউজিল্যান্ড

ম্যান অব দা সিরিজ : ড্যারিয়েল মিচেল