কাতারে চার-ছক্কার বৃষ্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড সোহানের
কাতারে বসেছে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল হংকং চায়নার বিপক্ষে। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রীতিমতো চার-ছক্কার বৃষ্টি নামালেন হাবিবুর রহমান। এই বৃষ্টিতেই গড়লেন ইতিহাস, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন এই ওপেনার।
কাতারের দোহায় আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) প্রথমে ব্যাট করে ১৬৭ রান তুলেছিল হংকং। সোহানের টর্নেডোতে ৯ ওভার বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্যও পার করেছে বাংলাদেশ। জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের তৃতীয় বল থেকে শুরু হয় সোহানের তাণ্ডব। প্রথম ওভারেই হাঁকান তিনটি ছক্কা। এরপর চলতে থাকে সেই ধারা। পাওয়ার-প্লের মধ্যেই ১০টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মাত্র ১৪ বলেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
সোহানের এই ঝড়ে পাওয়ার-প্লের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১০৭ রান। যার মধ্যে ২৫ বলে ৮৮ রান এসেছে সোহানের ব্যাট থেকেই। তখন তার সামনে সুযোগ ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার। সেজন্য তাকে ২৬ ও ২৭তম বলে দুটি ছক্কা মারতে হতো।
সোহান অবশ্য সেই পথে না গিয়ে শেষের ১২ রান করেছেন কিছুটা রয়েসয়ে। ১১ বল থেকে ১২ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরন করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০ ছক্কা আর ৮ চারে ৩৫ বলে ১০০ রান করে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাস না হলেও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই এখন দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এই রেকর্ড ছিল পারভেজ হোসেন ইমনের। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি–টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের হয়ে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সবার ওপরে নাহলেও সোহান জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভি মিলার, ভারতের রোহিত শর্মাদের সঙ্গে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক তিনি। সোহানের মতোই ৩৫ বলে সেঞ্চুরি আছে ডেভিড মিলার, রোহিত শর্মা আর শ্রীলঙ্কান সাদিরা সামিরাবিক্রমের। ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে এই তালিকার সবার ওপরে আছেন সাহিল চোহান।
হংকংকে হারানোর ম্যাচেও বাংলাদেশের বোলিংটা খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম ১০ ওভারে ৬৫ রান দেওয়া বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে রান খরচ করেন ১০২ রান। শেষ ওভারে আবু হায়দার খরচ করেন ২৬ রান। সে কারণেই হংকং তুলতে পারে ১৬৭ রান। হংকংয়ের হয়ে ফিফটি করেছেন বাবর হায়াত। তিনি করেছেন ৪৯ বলে ৬৩ রান।

স্পোর্টস ডেস্ক