হামজার জন্য বাংলাদেশে লেস্টারের দুই প্রতিনিধি
হামজা চৌধুরী দেশের ফুটবলের পোস্টারবয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ারই সেরা ফুটবলার হামজা। তাকে নিয়ে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে অন্যরকম উন্মাদনা তৈরি হয়ে যায়। সেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে ইংল্যান্ডে হামজার ক্লাব লেস্টার সিটিতেও।
আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুশীলন ছিল বাংলাদেশ দলের। অনুশীলনের মিনিট পনেরো আগে থেকেই মিডিয়াকর্মীদের ভিড় দেখা গেলো। তার মাঝে আলাদা করে নজর কাড়লেন দুজন বিদেশি নাগরিক। পরে জানা গেলো, তারা এসেছেন হামজার ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে।
এই দুই প্রতিনিধির মাঝে একজন লেস্টারের ভিডিও প্রডিউসার ড্যান টাগট। তার সঙ্গে আরেকজন দীর্ঘদেহী জ্যা ম্যান। তিনি লেস্টারের নিরাপত্তাকর্মী। সংবাদ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মিডিয়া মাঠে প্রবেশ করলে লেস্টারের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয় সেখানে।
তাদের বাংলাদেশে আসার কারণ জানিয়ে ড্যান টাগট বলেন, ‘হামজার ওপর ডকুমেন্টারি করতে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। ইংল্যান্ডে হামজাকে নিয়ে শুট করেছি। এখন বাংলাদেশে চার দিন থাকব। ভারত ম্যাচের পরের দিনই চলে যাব। এটা লেস্টারের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে মাসখানেক পর।’
বাংলাদেশে হামজার জনপ্রিয়তার কথা আগে শুনেছেন লেস্টারের এই দুই প্রতিনিধি। এবার বাংলাদেশে এসে নিজ চোখে দেখে বিস্মিত তারা। জানালেন, হামজাকে নিয়ে ডকুমেন্টরি করার কারণও।
লেস্টারের ভিডিও প্রডিউসর ড্যান টাগট বলেন, ‘আসলে হামজা ও লেস্টার প্রায় সমার্থক। তার বেড়ে ওঠা লেস্টারে এবং সেখানে তিনি সবার প্রিয়। আবার বাংলাদেশেও হামজার বিশাল জনপ্রিয়তা। হামজার মুখে শুনেছি আগে, আজ দেশে এসে এত মিডিয়ার উপস্থিতি এবং চার মিনিটে টিকিট বিক্রির ঘটনা শুনে বেশ বিস্মিত হয়েছি।’
হামজা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর পর থেকে নিয়মিত দেশের ফুটবল সমর্থকরা লেস্টারের খেলা ফলো করেন। লেস্টারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডেলগুলোতেও সরব উপস্থিতি দেখা যায় বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের।
লেস্টারের ম্যাচগুলোর সময়সূচিতে এখন বাংলাদেশের টাইমজোন আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে ড্যান টাগট বলেন, ‘হামজার জন্য বাংলাদেশের অনেক মানুষ লেস্টারকে অনুসরণ করছে। মানুষের আগ্রহের জন্যই স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের টাইম জোন যুক্ত হয়েছে।’

স্পোর্টস ডেস্ক