করোনার চিকিৎসার গবেষণায় যে ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে এগিয়ে

Looks like you've blocked notifications!

নতুন উদ্ভাবিত একটি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বানরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া চীনের এক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি এবার বিশ্বব্যাপী মানবদেহে পরীক্ষামূলক ব্যবহারে যেতে চায়। ভ্যাকসিনটির নাম ‘পিকোভ্যাক’। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক এটি তৈরি করেছে।

কোম্পানির বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রচলিত ভাইরাসপ্রতিরোধী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে। কোনো প্রাণীর শরীরে এটি প্রয়োগ করলে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাস ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যায়ে এ গবেষণার ফল লাভের পর মানবদেহেও পিকোভ্যাকের ট্রায়াল শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিনটি বর্তমানে গবেষণার ‘ফেজ থ্রি’, অর্থাৎ তৃতীয় ধাপে রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য গবেষক শতাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন, যেগুলো গবেষণার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।

চীনের জিংগুয়া ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ড্রাগ ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডিং জেং বলেন, ‘মূল চ্যালেঞ্জটা ফেজ থ্রি-তেই। এখানেই দেখা যাবে ইমিউন সিস্টেমে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) কতটা কাজে দেয় ভ্যাকসিনটি।’

গত মার্চের শুরুতে রিসাস ম্যাকাকিউস প্রজাতির একদল বানরের শরীরে নতুন উদ্ভাবিত পিকোভ্যাক ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন চীনা গবেষকরা। এর তিন সপ্তাহ পরে বানরগুলোকে করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে নেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পরে দেখা যায়, যেসব বানরের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল তারা করোনায় সংক্রমিত হয়নি। আর যেসব বানরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি, তাদের ফুসফুসে করোনাভাইরাসে উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কয়েকটির শরীরে নিউমোনিয়ার উপসর্গও দেখা দেয়।

এ সিনোভ্যাক প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০০৩ সালে সার্সের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে বাজারজাত করে। ভ্যাকসিনের গবেষণা ও তৈরিতে সিনোভ্যাকের নামডাক রয়েছে। এবারের মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাদের প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার বিষয়।

এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪১৩ জন মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪০ লাখ ২৮ হাজার ৫৪৭ জন। আর সুস্থ হতে পেরেছে ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯ জন।