তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’-এর অ্যাম্বাসেডর ওয়ালটন। আইটি খাতে ওয়ালটন অন্যতম পাইওনিয়ার কোম্পানি। তারা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার তৈরি করছে। ওয়ালটন কারখানায় পণ্যের বৈচিত্র্য অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় কথা ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ যেসব পণ্য প্রয়োজন, সেগুলো ওয়ালটন উৎপাদন করছে। এখানে নতুন নতুন ডিভাইস তৈরি হচ্ছে। দেশে তৈরি এসব পণ্য বিদেশেও যাচ্ছে।

আজ শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম। কারখানা পরিদর্শনকালে আইসিটি সচিব ওয়ালটনের তৈরি প্রিলুড এন৪১ সিরিজের নতুন মডেলের ল্যাপটপের উদ্বোধন করেন।

আইসিটি সচিব বলেন, আজকে যে ল্যাপটপটির উদ্বোধন করলাম, সেটা খুবই চমৎকার। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং দামে সাশ্রয়ী। বাংলাদেশের আইটি শিল্প রপ্তানির যথেষ্ঠ সুযোগ আছে। দেশে আইটি স্কিল ডেভেলপ হচ্ছে। তাদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরি করেছে ওয়ালটন।

সবাইকে দেশে তৈরি পণ্য ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়ে জিয়াউল আলম বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে সরকার খুবই আন্তরিক। দেশীয় শিল্পের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।

এর আগে সকালে কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছালে আইসিটির সিনিয়র সচিবকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, এস এম শাহাদাত আলম, ইউসুফ আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহীনুর সুলতানা, অ্যাকটিং হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইয়াসির আল ইমরান, সিনিয়র অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোল্লা প্রমুখ।

কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছে আইসিটি সচিব প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তিনি ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি রেফ্রিজারেটর, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, মেটাল কাস্টিং, কম্প্রেসর, এসএমটি প্রোডাকশন, এয়ার কন্ডিশনার, পিসিবি প্রজেক্ট, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন, টেলিভিশন এবং এলিভেটর উৎপাদন কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।