বাংলাদেশ গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা প্রদান করতে প্রস্তুত রয়েছে : পলক

Looks like you've blocked notifications!
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত হলো বাংলাদেশ-কোরিয়া ড্রোন রোড শো-২০২২ শীর্ষক একটি সম্মেলন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) ইউএভি (আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকল) ও এ সম্পর্কিত সফটওয়্যার সমাধানগুলোর ওপর উক্ত সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।

রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত অর্ধদিবসের এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই কোরিয়ার সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। তিনি বলেন, আরএমজি সেক্টরে ৪০ বছর আগে থেকেই কোরিয়ার সাথে আমরা কাজ শুরু করি। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি দেশ হিসেবে আরএমজি সেক্টরে স্বীকৃত।

পলক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের এই লক্ষ্য অর্জনে বন্ধু দেশ হিসেবে পাশে রয়েছে বলে তিনি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন।

প্রতিমন্ত্রী ড্রোন প্রযুক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করার মাধ্যমে দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করে বলেন যে পানি দূষণ রোধে ড্রোন টেকনোলজি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, তিনি ছাত্র-ছাত্রী সহ তরুণদের ড্রোন টেকনোলজি সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, আমরা ড্রোন প্রযুক্তি বিষয়ক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী রোড শো আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।  তিনি বলেন, বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির মার্কেট খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ-কোরিয়া যৌথভাবে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের ড্রোন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কোরিয়া-বাংলাদেশ পার্টনারশিপের মাধ্যমে এ প্রযুক্তি উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উক্ত আয়োজনটি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন একটি সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এর মূল লক্ষ্য হলো ড্রোন প্রযুক্তির গুরুত্ব ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহারের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়িক খাতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং উক্ত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা সকলের নিকট তুলে ধরা। রোডশোর উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্তৃপক্ষ থেকে উপস্থাপনাসহ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের পণ্য-নির্দিষ্ট উপস্থাপনাগুলোর একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ফলে তারা এই ক্ষেত্রে কীভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং কোরিয়া যে সমাধানগুলো অফার করতে পারে তার কিছু ব্যাখ্যা করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে। উক্ত সম্মেলনে কোরিয়ার ৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের ড্রোন ও জিআইএস বিষয়ক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, কে-বিডি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইয়ং ওহ রিউসহ অনেকে। এ ছাড়া আয়োজনে ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট অব এভিয়েশন সেফটি টেকনোলজি, কোরিয়ান ইউএভি প্রযুক্তি কোম্পানি এবং স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।