'আইএসএসে চীন ও ভারতকে স্থান দিতে হবে'
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) চীন ও ভারতে স্থান দেওয়া উচিত। জার্মানির স্পিগেল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দাবি করেছেন জার্মান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) পরবর্তী প্রধান জোহান দিতায়েত ওয়েনার।
১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে নির্মিত ভূপৃষ্ঠের ৪০০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে ঘুরতে থাকা আইএসএসকে অনেক সময় খালি চোখেই দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জার্মানিসহ বিশ্বের ১৫টি দেশ এটি তৈরিতে অর্থায়ন ও প্রযুক্তি সহায়তা করেছে। তবে ১৫টি দেশের মধ্যে চীন ও ভারত নেই।
সাক্ষাৎকারে জোহান দিতায়েত ওয়েনার বলেন, আইএসএসের জোটে আর কারো অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই—এমন নীতি থেকে সরে আসতে হবে।
২০২০ সাল পর্যন্ত আইএসএস চালানোর মতো অর্থ আছে। তবে এটি ২০২৪ পর্যন্ত চালু রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব হয়েছে। এই বাড়তি সময় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষণার জন্য সহায়ক হবে। সংস্থাটি আইএসএস এমন প্রযুক্তি তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে যা তাদের পরবর্তী লক্ষ্য মঙ্গলে মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের অভিযানে সহায়ক হতে পারে।
২০২০ সালের পরও আইএসএস চালু রাখা হলে বিশ্বের অনেক বাণিজ্যিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সেখানে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
আইএসএসে পরিচালনার খরচ বহন করে নাসা। এ জন্য প্রতিবছর সংস্থাটির প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
বর্তমানে মহাকাশে অভিযানের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভর করে ইএসএ। তবে সংস্থাটির পরবর্তী প্রধান ওয়েনার আশা করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা মানুষবাহী মহাকাশযান উড্ডয়নের সক্ষমতা অর্জন করবেন।