বিয়ে টিকছে না বংশগত কারণে!

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : দি ইনডিপেনডেন্ট

কথায় মিলছে না। দুইয়ে দুইয়ে চারও হচ্ছে না। কথায় কথায় ঝগড়া। একসময় একে অপরের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। দম্পতি সিদ্ধান্ত নেয় বিচ্ছেদের।

সামাজিক কারণেই বিয়ে টেকে না মানুষের। কিন্তু নতুন গবেষণা বলছে অন্য কথা। বিয়ে না টেকার পেছনে আছে জিনগত সমস্যা!

ব্রিটিশ পত্রিকা দি ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া বেশির ভাগ বাবা-মায়ের সন্তানরাও একই পথে হাঁটে। সুইডেনের লুনড বিশ্ববিদ্যালয় ও ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া মানুষদের নিয়ে গবেষণা করেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়। এসব দম্পতির ইতিহাস পর্যালোচনা করেছে গবেষণায়। দেখা গেছে, যেসব পুরুষ বা নারীর বাবা ও মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে, তাঁদের মধ্যেই বিচ্ছেদের প্রবণতা বেশি।

গবেষকদের একজন ড. জেসিকা সালভাতর বলেন, ‘আমরা মৌলিক প্রশ্ন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। সেটা হচ্ছে কেন পরিবারে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে?’

গবেষকরা জানান, ওই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দম্পতির পরিবারের ইতিহাস দেখা হয়েছে। কেননা এর ওপর ভিত্তি করে তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। যেন তাঁরা ওই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন।

তবে তা যদি জিনগত সমস্যা হয়ে থাকে, তবে পরামর্শের মতো বিষয়গুলো কাজ নাও করতে পারে। সালভাতরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছেন ড. কেনেথ কেন্ডলার। তিনি গবেষণার প্রাপ্তিকে বলছেন ‘গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার’ হিসেবে।