মানুষ ও যন্ত্রের পার্থক্য চিনতে পারবে গুগল

মানুষ আর রোবট আলাদা করতে গুগল একটা ভ্যারিফিকেশন চালায় ‘ক্যাপচা কোড’ এর মাধ্যমে। এই অভিজ্ঞতা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমবেশি সব মানুষেরই রয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা কুইজের মতো, বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার।পরীক্ষার মধ্যে থাকে আবছা কিছু শব্দ এবং সংখ্যা ঠিকভাবে খুঁজে বের করা। কিন্তু এই ক্যাপচার বাধা উঠিয়ে দিচ্ছে গুগল, এমন খবরই জানানো হয় টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রযুক্তি পাতায়। এর বদলে তারা নিয়ে এসেছে নতুন প্রযুক্তি। যা কি না মানুষের অঙ্গভঙ্গি, মাউসের ব্যবহার ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করতে পারবে।
অবশ্য ডিভাইস শনাক্তকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডট্রুথস বলছে, ‘শুধু মানুষ শনাক্ত নয়. ব্যবহারকারী সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য নেবে এই প্রযুক্তি। আর এসব গোপন তথ্য চলে যাবে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে। এতে তারা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে পারবেন।’
তবে এ বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। ক্যাপচা প্রথমে করা হয়েছিল বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে ভাইরাস এবং স্প্যাম থেকে মুক্ত রাখার জন্য। কিন্তু গুগলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এখন রোবটরাও ক্যাপচা পড়া শিখে ফেলেছে! তাই ক্যাপচা এখন আর ঠিক বিপদমুক্ত রাখতে পারছে না ইন্টারনেটের আঙিনাকে।
‘নো ক্যাপচা রিক্যাপচা’ পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীদের কাছে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন রাখবে গুগল বা অন্য কোনোভাবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় নেওয়া হবে। যেমন একটা ছবি দিয়ে বলা হবে, এর মধ্যে কয়টা বিড়াল আছে? বিড়াল চেনা এবং গুনে বের করার মতো বুদ্ধিমান রোবট এখনো আবিষ্কার হয়নি বলেই ধারণা গুগলের।
এর সাথে সাথে গুগল ব্যবহারকারী সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য নেবে। যেমন : ব্যবহারকারী কোনো সাইটে কতক্ষণ সময় কাটায়, কী ধরনের বিষয় সে ইন্টারনেটে বেশি খোঁজে, টাইপিং কতটা দ্রুত বা ধীরগতির ইত্যাদি ইত্যাদি।