অ্যানড্রয়েডের জন্য বাংলায় প্রথম ‘একুশে থিম’

Looks like you've blocked notifications!
প্রথম বাংলা থিম ‘একুশে থিম’। ছবি : সংগৃহীত

চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর এ মাসেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের জন্য গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে বাংলা থিম স্টোর ‘থিম বাজার’। এই থিম বাজারে প্রথম যে থিমটি ছাড়া হয়েছে তার নাম ‘একুশে থিম’। আর এটাই হচ্ছে প্রথম বাংলা থিম।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে অ্যাপটি গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এ থিম তৈরির মূল আইডিয়া ডেভেলপ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সারোয়ার মিরাল।

‘মাল্টিপ্লেক্স ল্যাব’ থেকে অ্যাপটি প্লে-স্টোরে ছাড়া হয়েছে যা এর আগে ‘মিরাল’স অ্যাপ হাউজ’ নামে পরিচিত ছিল। এর আগে মিরাল’স অ্যাপ হাউজ থেকেই ‘সিএনজি ফেয়ার ক্যালকুলেটর’, ‘এক্সপেন্স ম্যানেজার’-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছিল।

একটি থিমের মাধ্যমে অ্যানড্রয়েড চালিত স্মার্টফোনের সবকিছুই বদলে দেওয়া যায়। ফোনবুক, স্ক্রিন সেভার সব জায়গাতেই একটি থিমের ওপর ভিত্তি করে ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা হয়। ফলে পুরো ফোনেই নির্দিষ্ট থিমটি ফুটে ওঠে।

‘একুশে থিম’ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সাথে বিস্তারিত কথা বলেছেন এর নির্মাতা সারোয়ার মিরাল। কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, নিজস্বতা ও স্বপ্ন থেকেই বড় কিছুটা করার প্রয়াস তার দীর্ঘদিনের।

মিরাল বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই দেখে আসছি স্যামসাং, সনি কিংবা অন্য মোবাইলে থিম স্টোর থাকলেও বাংলা কনটেক্সটে কোনো থিম নেই। সে অভাব বোধ থেকেই কাজে নেমে পড়ি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮তম ব্যাচের সাবেক এ শিক্ষার্থী জানান, অ্যাপটি নির্মাণে তিনিই ছিলেন নেতৃত্বে। এর মূল ভাবনাটাও করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে ছয়জন মিলে ২০ দিনে অ্যাপটি নির্মাণ করেছেন।

মিরালের তত্ত্বাবধানে অ্যাপটির কো-ডেভেলপার হিসেবে কাজ করেছেন হিমেল, অর্ণব, আকিফ, আমান এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন শাহিন। এ ছাড়া অ্যাপটির মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন আরাফাত।

অ্যাপটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিরাল বলেন, ‘বাংলায় এ রকম আর কোনো থিম নই। এতগুলো বাংলা অ্যাপ একসাথে পাওয়া যায় না। আমি চাই অন্যরাও এ নিয়ে কাজ করুক, বাংলা অ্যাপে ভরে যাক প্লে-স্টোর। কাস্টমাইজড থিম করার কারণে এটা অ্যানড্রয়েডের সব ভার্সন উপযোগী। স্যামসাং, সনি অথবা অন্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি মোবাইল ফোনে একটা থিম চালানো সম্ভব নয় বলে আমরা কাস্টমাইজড থিম নির্মাণ করেছি।’

থিমগুলো বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও এতে বিজ্ঞাপনের কিছু ব্যবহার থাকতে পারে বলে জানান মিরাল।

মিরাল আশা করছেন গত নভেম্বরে তাঁর তৈরি অ্যাপ সিএনজি ফেয়ার ক্যালকুলেটর যেভাবে সাড়া জাগিয়েছিল, ‘থিম বাজার’ও সে ধরনের সাড়া পাবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে ২৬ মার্চ, বাংলা নববর্ষ, মে দিবস, রিকশা, ঈদ, পূজা, বিজয় দিবসের আরো অনেক থিম নিয়ে আসবেন তিনি। সময়ের সাথে সাথে অ্যাপগুলো আরো ইউজার ফ্রেন্ডলি করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

গুগল প্লেস্টোর থেকে থিম স্টোরটি ডাউনলোড করতে পারেন এই লিংক থেকে : https://play.google.com/store/apps/details?id=multiplexer.banglathemestore