সব প্ল্যাটফর্মে হোয়াটসঅ্যাপ এনক্রিপশন

Looks like you've blocked notifications!
এনক্রিপশন চালু হলো হোয়াটসঅ্যাপে। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং সার্ভিস হোয়াটসঅ্যাপ। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এর ব্যবহারকারী ১০০ কোটিরও বেশি।

তবে এতদিন নিরাপত্তা জটিলতার কারণে সব প্ল্যাটফর্ম বা অপারেটিং সিস্টেমে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যেত না। তবে এবার সব প্ল্যাটফর্মে হোয়াটসঅ্যাপ এনক্রিপশন চালু করায় সেই আশঙ্কা দূর হয়েছে।

এনক্রিপশন বলতে বোঝায়, এমনভাবে কোনো ম্যাসেজকে এনকোড করা যাতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রাপকই সেই ম্যাসেজটি দেখতে ও পড়তে পারেন। এনক্রিপশন করা না থাকলে অনেক সময় হ্যাকাররা টেক্সট ম্যাসেজ, ভিডিও বা অডিও কলের বিভিন্ন তথ্য চুরি করে নেয়।

হোয়াটসঅ্যাপে এনক্রিপশন চালু হওয়ায় এখন থেকে অ্যানড্রয়েড, আইফোন ও ব্ল্যাকবেরি সব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাই নিশ্চিন্তে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন।

গতকাল মঙ্গলবার নিজেদের ব্লগপোস্টে এ নিয়ে লিখেছেন হোয়াটসঅ্যাপ এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কৌম ও ব্রায়ান অ্যাক্টন।

পোস্টে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা খুবই সহজ। আপনি যখন কাউকে কোনো ম্যাসেজ পাঠাবেন তখন শুধুমাত্র যাকে বা যেই গ্রুপে ম্যাসেজটি পাঠাবেন তারাই সেটা পড়তে পারবে। কোনো হ্যাকার বা সাইবার ক্রিমিনাল আপনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না। এমনকি আমরাও না।’   

এনক্রিপশন চালু করায় হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ বা অডিও কলের প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কেউ সেগুলো ম্যাসেজটি দেখতে, পড়তে বা শুনতে পারবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে ওই ব্লগপোস্টে।

২০১০ সালে যাত্রা শুরু করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। চার বছর পর ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় ফেসবুক। তবে হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠাতারাই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন।