ফেসবুকের নতুন অফিস খোলা ছাদে

Looks like you've blocked notifications!
নতুন অফিসের ছাদে রয়েছে নয় একর আয়তনের পার্ক। ছবি : ম্যাশেবল

আরো বড় পরিসরে নিজেদের নতুন কার্যালয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক। সিলিকন ভ্যালির মেনলো পার্কে অবস্থিত এই নতুন সদর দপ্তরের নকশা করেছেন ফ্রাঙ্ক গেরি। কার্যালয়ের ছাদে রয়েছে ‘রুফটপ পার্ক’। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘খোলা ছাদ’ বলা হচ্ছে এটিকে।

ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকের নিজের অ্যাকাউন্টে নতুন সদর দপ্তরে কাজ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। নতুন কার্যালয় সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘ভবনটি খুবই সাধারণ, আলাদা কোনো অলংকার এতে যোগ করা হয়নি। এটা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে। আমরা চাই যে আমাদের কাজের জায়গাটা এমন হোক যেন দেখে মনে হয় প্রতিদিনই সেখানে একটু একটু করে কাজ হচ্ছে। আপনি যখন আমাদের অফিসে ঢুকবেন তখন যেন বুঝতে পারেন, সামনে আমাদের কত কাজ বাকি আছে।’

সিলিকন ভ্যালিতে বিশ্বের নামকরা সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর অবস্থিত। এর মধ্যে নভোযান আকৃতির নিজস্ব সদর দপ্তর তৈরির কাজ করছে অ্যাপল। আবার গুগল কাজ করছে আগামী দিনের প্রকৃতিবান্ধব কার্যালয় তৈরি করতে। গুগলের অফিসে থাকবে বন্য প্রাণীদের নিরাপদ আবাস এবং যোগাযোগের জন্য অভ্যন্তরীণ পানি পথ।

ফেসবুকের নতুন অফিস সম্পর্কে জাকারবার্গ আরো বলেন, ‘আমরা চেয়েছি প্রকৌশলীদের জন্য একটা সঠিক কাজের পরিবেশ তৈরি করতে। তাই আমরা শুধু একটা বড় রুম তৈরি করেছি যেখানে এক হাজার লোক একসাথে বসে কাজ করতে পারবে। এর মধ্যে সবার জন্যই ছোটখাটো নিজস্ব পরিসর রয়েছে। যেখানে সবাই বাকিদের সাথে খুব সহজেই কথা বলতে পারবে।’

ফেসবুকের নতুন এই কার্যালয়ের ছাদটির আয়তন ৯ একর! যেখানে হাঁটার জন্য আলাদা রাস্তা রয়েছে। সেই সাথে বিশ্রাম বা কাজের জন্যও আলাদা বসার জায়গা রয়েছে।

নতুন এই কার্যালয়ের নকশা করার জন্য ২০১২ সালে কানাডীয় বংশোদ্ভূত স্থপতি গেরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেসবুকের পক্ষ থেকে। এর আগে স্পেনের বিলাবোর গগেনাম জাদুঘর এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়াল্ট ডিজনি কনসার্ট হলের নকশা করেছিলেন তিনি।