২০৪৫ সালের মধ্যেই মিলবে এলিয়েন!
ইটি, প্রিডেটর বা কন্টাক্টের মতো হলিউডের হাজারো চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞান কল্প-কাহিনীর কল্যাণে ভিনগ্রহবাসী বা এলিয়েন আমাদের বেশ পরিচিত। তবে এখন পর্যন্ত ভিনগ্রহবাসী শুধু রুপালি পর্দা আর উপন্যাসেই মেলে। বাস্তবে ভিনগ্রহবাসী থাকার কোনো জোরালো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
মানুষ হয়তো একদিন এলিয়েনের খোঁজ পাবে। সেই একদিন বেশি দূরে নয়, মাত্র ৩০ বছর! ২০৪৫ সালের মধ্যেই এলিয়েনের খোঁজ মিলবে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার গবেষকরা দাবি করেছেন, ২০৪৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে জীবনের সন্ধান পাওয়া যাবে। গবেষকরা ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব নিয়ে আর সন্দিহান নন। তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিত। গবেষকদের মতে, পৃথিবীর বাইরে কোনো গ্রহে জীব খুঁজে পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার।
সম্প্রতি সৌরজগৎ ও এর বাইরে মানুষের বাসযোগ্য স্থানবিষয়ক এক আলোচনায় নাসার প্রধান গবেষক অ্যালেন স্টোফান ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া নিয়ে তাঁর প্রতিষ্ঠানের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এক দশকের মধ্যেই পৃথিবীর বাইরে জীবনের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা গভীরভাবে জানতে পারবেন। আর পরবর্তী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যেই ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব মিলবে। বিজ্ঞানীরা জানেন, কোথায় খুঁজতে হবে এবং কীভাবে খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, ‘গবেষণার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের হাতে প্রযুক্তি আছে। এখন আমরা এসব প্রযুক্তি প্রয়োগের অপেক্ষায় আছি। তাই বলা যায়, আমরা সঠিক পথেই চলছি।’
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী আরো বলেন, আমরা ভিনগ্রহে আণুবীক্ষণিক জীব খোঁজার অভিযান চালাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে সবুজ মানুষ (চলচ্চিত্রে দেখানো এলিয়েন) খুঁজে পাওয়ার আশা করা বোকামি।
নাসা বর্তমানে প্রথমে পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহগুলোতে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজছে। এর পর খোঁজ চলবে দূরের গ্রহে। সবশেষে খোঁজ চলবে সৌরজগতের বাইরে।