তিনি অ্যাপলের সিইও টিম কুক
স্টিভ জবসের পর অ্যাপলের কাণ্ডারি হন টিম কুক। বেঁচে থাকতে জবস ভরসা করে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন টিমের হাতে। বন্ধুর বিশ্বাস রেখেছেন টিম। অ্যাপলকে ধ্যানজ্ঞান করে পথ চলছেন। যদিও নিন্দুকরা বলেন, জবসের অনুপস্থিতিতে অ্যাপলকে ডুবিয়েছেন টিম। এসব কথায় কান না দিয়ে এগিয়ে চলছেন টিম। তাঁর বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। টিম কুক সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য বের করে এনেছে তারা।
১. সম্পদ দান করে যাবেন
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী মানে তিনি অঢেল সম্পত্তির মালিক। টিম কুকের সম্পদের পরিমাণ ৭৮ কোটি ডলার। এর প্রায় সবটুকুই তিনি চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে দান করে যাবেন, শুধু ১০ বছর বয়সী একমাত্র ভাতিজার লেখাপড়ার খরচটা রেখে।
২. একদমই ছুটি কাটান না
গত বছর টিম কুককে ৫৬ হাজার ৯২৩ ডলার দিয়েছে অ্যাপল। এটা তাঁর না কাটানো ছুটির বিপরীতে পাওনা অর্থ। ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে টিম কুক খুবই কৃপণ। একেবারে শয্যাশায়ী না হলে তিনি ছুটি নেন না।
৩. রাতে ঘুমান, ভোর ওঠেন
চাকরি করেও অনেকে রাত জাগার অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। অথচ টিম কুককে দেখুন, ভোর পৌনে ৪টার সময় তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। উঠেই প্রথম তিনি যে কাজটা করেন, বেড সাইড টেবিলে থাকা অ্যাপল ওয়াচটি হাতে জড়িয়ে নেন। রাতে সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।
৪. পরিবর্তন আনতে চান
এ কথা সবাই মুখে বলেন। টিম কুক কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন। সমকামিতার বিষয়ে সোজাসাপ্টা কথা বলেছেন তিনি। নিজেকে সমকামী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন জনসমক্ষে। এ বিষয়ে এখনো মার্কিন সরকারের বিভিন্ন আইনের সমালোচনা করে যাচ্ছেন তিনি।
৫. জবসকে অনেক মিস করেন
স্টিভ জবসকে গুরু মানেন টিম কুক। সব সময় বন্ধুর পাশে থেকেছেন তিনি। এমনকি জবস যখন হাসপাতালে, তখন নিজের কিডনিও দিতে চেয়েছিলেন জবসকে বাঁচাতে। এখনো নিজের ফোনবুক থেকে জবসের নম্বর মুছে ফেলেননি টিম। এমনকি জবস যেভাবে রেখে গিয়েছিলেন, অ্যাপলের সদর দপ্তরে তাঁর রুমটা এখনো সে রকমই রেখে দিয়েছেন টিম কুক।