আহসান কবীরের ‘আগুনঝরা জল’, গল্পে মেতেছে পাঠক

Looks like you've blocked notifications!

গল্পগ্রন্থের নাম ‘আগুনঝরা জল’। গ্রন্থটি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে পাঠকমনে। বইটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বেড়েছে বিক্রিও।

কবি ও গল্পকার সৈয়দ আহসান কবীরের ‘আগুনঝরা জল’ এখন অমর একুশে বইমেলায়। আগুনঝরা জলে মোট ২৩টি গল্প রয়েছে। পৃথিবীর সব অভিশপ্তকে বইটি উৎসর্গ করেছেন লেখক।

২৩ কাহিনীকল্পে রাষ্ট্র, ভালোবাসা, প্রেম, বিরহ, আনন্দ, দুঃখ, মৌনতায় ঘেরা যৌনতা ও দ্রোহ, সবই ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে।

বইটির প্রকাশক রৌদ্রছায়া প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আহমেদ রউফ বলেন, চরম রসবোধে জমে উঠেছে কিছু কিছু গল্প। বেশ কিছু আবার গাম্ভীর্যে পরিপূর্ণ, পরিকল্পনার ছকে পরিপুষ্ট। রূপকে তুলে ধরা হয়েছে ঘুণে ধরা বিশ্বসমাজের নেতৃত্ব, প্রশংসিত হয়েছে কালোর মাঝে আলোর বিশেষ কিছু চরিত্র।

মন্ত্রমুগ্ধের মতো আহমেদ রউফ বলে যাচ্ছিলেন, কবি সৈয়দ আহসান কবীর যখন গল্প লেখেন, তখন তাঁর লেখার কাহিনী কাব্যিকতার ছোঁয়ায় নান্দনিক হয়ে ওঠে। তাঁর লেখা গল্প বরাবরই সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারতান্ত্রিক। তিনি এসব তন্ত্রকে শব্দমন্ত্রের জাদুতে কল্পলোকেও ভাসিয়ে নেন, বলেন কঠিন বাস্তবতার কথা। আঁকেন প্রেক্ষাপট। দেন নানা পরিকল্পনা। এজন্যই তাঁর গল্প ছুঁয়ে নেয় পাঠকের মন। তারা পড়তে গিয়ে ভেবেই নেন, এ যেন তাদেরই গল্প। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইপ্রেমী মানুষ পাঠপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

খুরশিদ আলম নামের এক পাঠক বলেন, ‘সৈয়দ আহসান কবীবের আগুনঝরা জল দারুণ। গল্পে-স্বল্পে মন ভরিয়ে দিয়েছেন লেখক।’

নাজমুল হুদা নামের আরেকজন পাঠক লিখেছেন, ‘একেকটি গল্প পড়েছি, আর মনে হয়েছে; এ গল্প আমারই জন্য লেখা। চোখের আরাম পাবেন, ছুঁয়ে যাবে মনও! গল্পে-স্বল্পে কবি আহসান তাঁর কাব্যিকতাও এঁকেছেন সানন্দে।’

কবি মানবেন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘একটানে বইটি পড়ে ফেলেছি। খুব টেনেছে। কোথাও জড়তা ছিল না। মালটা, বাঙ্কু কাকুর টিস্যুকাব্যের মতো কিছু স্যাটায়ারও আছে গ্রন্থটিতে। ‘একটি চোখের গল্প’ যেন পুরোটাই কবিতা।’’

সৈয়দ আহসান কবীর লিখেছেন, ‘পুলিশ মানুষ’। সেখানে এঁকেছেন একটি মানবিক পুলিশের বৈশিষ্ট্য। শুধু এই গল্পেই নয়, তাঁর লেখায় আছে রসবোধ ও বিশেষত্ব।

সৈয়দ আহসান কবীর বলেন, শব্দকে ডাকি, শব্দ আসে। বাক্যে বাক্যে সেজে ওঠে। আমার কি আর এমন শক্তি আছে! বার্তা দিতে চেষ্টা করেছি মাত্র। বাকিটা পাঠক, সমালোচক, আলোচক, নিন্দুক বলতে পারবেন—কী হয়েছে, না হয়েছে; কী হওয়া দরকার ছিল বা বাদ দেওয়া দরকার ছিল। তাদের ভালোবাসা আমাকে নিরাশ করেনি কখনোই।’

সৈয়দ আহসান কবীর আরও বলেন, ‘বইটি পৃথিবীর সব অভিশপ্তকে উৎসর্গ করা। তাদের কথা কেউ মনে রাখে না। তারা ভালো থাকুক, পৃথিবী সুন্দর হোক।’

৬৪ পৃষ্ঠার বইটি হার্ডকাভারে প্রকাশ করেছে রৌদ্রছায়া প্রকাশ। প্রচ্ছদ করেছেন রৌদ্রনীল। মূল্য ২০০ টাকা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে প্রকাশনীর ৫৬৭ নম্বর স্টলে ২৫ শতাংশ মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। রকমারি ডটকমসহ বইফেরি ও বইবাজারেও পাওয়া যাবে ‘আগুনঝরা জল’।