একুশে গ্রন্থমেলায় মিন্টু রায়ের গল্পগ্রন্থ ‘কাঁটাতারে কান্না’

Looks like you've blocked notifications!

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হয়েছে মিন্টু রায়ের গল্পগ্রন্থ ‘কাঁটাতারে কান্না’। সমাজ ও জীবনের দহন গ্রন্থবদ্ধ এই গল্পগুলোর মূল প্রতিপাদ্য। ১৪টি গল্প নিয়ে প্রকাশিত বইটির গল্পগুলোতে নামের সঙ্গে প্রেক্ষাপট ও বিষয় বৈচিত্র্যের ভিন্নতা থাকলেও সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে একটা সাযুজ্য রয়েছে। শিলালিপি প্রকাশিত বইটির ভূমিকা লিখেছেন সেলিনা হোসেন। মূল্য ৩৯০ টাকা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে শিলালিপির ৫৫৫ নম্বর স্টলে।

গল্পের চরিত্রেরা কেন্দ্রীয় ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে অসম্পর্কিত হলেও সেসবের প্রভাব বয়ে চলেছেন, যা রূপায়িত হয়েছে শৈল্পিক বর্ণনায়, সম্পর্কের ছিন্নবুনটে। যাদের জীবনে স্থিতি অটুট, তাদের সমূহ অবক্ষয় নিয়েও বিচলিত গল্পকার। ঐতিহ্যবিচ্ছিন্নতা, অপরিমিত বাজার-উপচার ও পণ্যানুষঙ্গ, সব মিলিয়ে ভ্রষ্টগন্তব্যে সমাজ। আর সেখানেই অমানবিকতা। ইতিহাসের বিপর্যয়কর ঘটনার নির্মাতা যাঁরা নন, দুর্ভোগগুলো তাঁদেরই বয়ে বেড়াতে হয়। গল্পগুলো এমন একটি বাস্তবের দিকে দৃষ্টি ফেরায়, যা আমরা উপেক্ষা করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। অস্তিত্বহীনতার আর্তি পাঠককে টেনে নিয়ে চলে শেষ অবধি।

গল্পকার মিন্টু রায় নিরবচ্ছিন্ন সাধনায় রত সাহিত্যের প্রায় সব আঙ্গিকে। পেশায় শিক্ষক মিন্টু রায়ের জন্ম ২০ আগস্ট ১৯৭৩, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রামে। নিয়মিত লিখছেন গল্প, কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধ- বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাহিত্য পত্রিকায়। ‘চন্দ্রবিন্দুর বসতি’ ও ‘নীল মেঘ সাদা জল’ কাব্যগ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। ‘কাঁটাতারে কান্না’ তাঁর প্রথম গল্পগ্রন্থ।

প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশের অনুভূতি জানিয়ে লেখক মিন্টু রায় বলেন, ‘এবারের বইমেলা আমার কাছে অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দিয়েছে। এর আগেও দুটো কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে। এবারেরটা গল্পগ্রন্থ। যেটার ভূমিকা লিখেছেন শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বইটা সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য হবে বলে আমার বিশ্বাস। আজই মেলায় এলো বইটা। এজন্যে কিছুটা আবেগ, কিছুটা ভালোলাগা, কিছুটা ভয় জড়িয়ে আছে আমার অনুভূতিতে।’