কবি শহীদ কাদরীর না থাকার ছয় বছর

Looks like you've blocked notifications!
কবি শহীদ কাদরী। ছবি : সংগৃহীত

‘ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করব

একজন কবি কমান্ড করবেন বঙ্গোপসাগরের সবগুলো রণতরী’...

সেই কমান্ড করার স্বপ্নদ্রষ্টা কবি শহীদ কাদরী সশরীরে নেই, তাও ছয় বছর হয়ে গেল। ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট ৭৪ বছর বয়সে নিউইয়র্কের নর্থ শোর বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আধুনিক নাগরিক জীবনের প্রাত্যহিক অভিব্যক্তির অভিজ্ঞতাকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন কবি শহীদ কাদরী। মাত্র চারটি বইয়ে বাংলা কবিতায় অমরত্ব পেয়েছেন তিনি।

শহীদ কাদরী ১৯৪২ সালের ১৪ আগস্ট কলকাতা শহরের পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব কাটে কলকাতা শহরে। পরে ১৯৫২ সালের দিকে ১০ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এরপর প্রায় তিন দশক তিনি ঢাকা শহরে অবস্থান করেন এবং ১৯৭৮ সাল থেকে প্রবাসজীবন শুরু করেন। তিনি বার্লিন, লন্ডন, বোস্টন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত নিউইয়র্কে বসবাস করেছেন।

শহীদ কাদরী ১৯৪৭-পরবর্তীকালের বাঙালি কবিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, যিনি নাগরিক-জীবন-সম্পর্কিত শব্দচয়নের মাধ্যমে বাংলা কবিতায় নাগরিকতা ও আধুনিকতাবোধের সূচনা করেছিলেন। দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ববোধ এবং প্রকৃতি ও নগরজীবনের অভিব্যক্তি তাঁর কবিতার ভাষা ও বক্তব্যকে অনন্য রূপ দিয়েছে।

কবি শহীদ কাদরীর চার কবিতার বই—উত্তরাধিকার (১৯৬৭), তোমাকে অভিবাদন, প্রিয়তমা (১৯৭৪), কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই (১৯৭৮), আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও (২০০৯)।

শহীদ কাদরীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ চারটি। ১৯৭৩ সালে বাংলা কবিতায় অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক লাভ করেন।