কুষ্টিয়ায় বিশ্বকবির জন্মদিন পালনে প্রস্তুত কুঠিবাড়ি

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। ছবি : এনটিভি

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী পালনে প্রস্তুত কুঠিবাড়ি। কবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যপী অনুষ্ঠান। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব প্রস্তুতি। করোনার কারণে গত দুই বছর এই অনুষ্ঠান না হওয়ায় এবারের আয়োজনকে ঘিরে রবীন্দ্রপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ করা যাচ্ছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী আগামীকাল রোববার বেলা আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

নিরিবিলি পরিবেশ, জমিদারি আর ব্যবসার কারণে বারবার কুষ্টিয়ার এই কুঠিবাড়িতে ফিরে আসতেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিভৃত বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কবির জীবনের মূল্যবান সময় কেটেছে। এখানে বসে রচিত গীতাঞ্জলী কাব্য রবীন্দ্রনাথকে এনে দিয়েছে নোবেল পুরস্কার, আর বিশ্বকবির মর্যাদা।

এ ছাড়া বিশ্বকবি এখানে বসেই আমাদের জাতীয় সঙ্গীতসহ অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করেছেন। কুঠিবাড়িতে সংরক্ষণ করা আছে সেসব দিনের নানা স্মৃতি।

করোনার কারণে গত দুই বছর এখানে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। এবারে কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে তিন দিনের নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে কুঠিবাড়ির রবীন্দ্র মঞ্চকে গানে গানে মনোমুগ্ধ করে তুলতে শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার রবীন্দ্র শিল্পীরা। দুই বছর পর আবারও রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকীতে সংগীত পরিবেশন করতে পারবে, এতে খুশি তাঁরা।

কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম জানান, এবারের আয়োজনে কুঠিবাড়ির রবীন্দ্র মঞ্চে জেলার ৬০টি সংগঠন এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিল্পী সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। কুঠিবাড়িতে জাতীয়ভাবে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করায় খুশি জেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা বলেও জানান তিনি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় কুঠিবাড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। এই অনুষ্ঠানকে সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আবওহাওয়া  ভালো থাকলে সুন্দর অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন রবীন্দ্রপ্রেমীরা।

এদিকে কুঠিবাড়ি চত্বরে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নানা রকম পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।