চিরকালের হুমায়ূন আহমেদ

Looks like you've blocked notifications!
হুমায়ূন আহমেদ। ছবি : তুমুল মাহবুব

আমাদের কথাশিল্পের জাদুকর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের কিংবদন্তিসম জনপ্রিয় সৃজনীশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, ছিলেন এমন এক স্বতন্ত্র ঘরানার কথাসাহিত্যিক, যিনি ছোটগল্প লিখে আলোড়ন তুলেছেন, উপন্যাস দিয়ে মোহগ্রস্ত করেছেন পাঠকদের। সৃজনশীলতার প্রায় সব শাখায় পাঠক ও দর্শকদের নিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়েছেন। তিনি ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকার। এ ছাড়া বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যেরও তিনি একজন পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সমান সমাদৃত। বাংলা কথাসাহিত্যে সংলাপ প্রধান নতুন শৈলীরও তিনি একজন পথিকৃৎ। বাংলা কথাসাহিত্যের তুলনারহিত জনপ্রিয় এক নাম হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর দেহে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। কিন্তু  দীর্ঘ ১০ মাস ক্যান্সার রোগে ভুগে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই বাংলা সাহিত্যের তুমুল জনপ্রিয় এই লেখক চিকিৎসাধীন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান অদৃশ্যলোকে, অচেনা অন্তরালে। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন পাঠকের মনে আপন সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে চিরকালের শিল্পসত্তা হিসেবে।

২.

ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ বর্ণিল ও অনন্য জীবন কাটিয়েছেন। তবে তাঁর জীবনজুড়ে ছিল খেয়ালিপনার আনাগোনা। বহুমাত্রিক এই লেখককে নিয়ে সমালোচকদের তির্যক মন্তব্যেরও অন্ত ছিল না। এসব পাশ কাটিয়ে তিনি অবিরত লিখে গেছেন আপন খেয়ালে। আবিষ্কার করেছেন এমন কিছু বিষয় এবং চরিত্র, যা আমাদের সাহিত্য ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। কোনো ভৌগোলিক সীমায় সার্বভৌম রাজ্যের নয়, বাংলা সাহিত্যে, জনপ্রিয়তার শীর্ষে যাঁরা অবস্থান করেছেন, তাঁদের সবাইকে তিনি ছাড়িয়ে আকাশ স্পর্শ করেছেন। সম্রাট হুমায়ূনের মতো তিনিও ছিলেন ভীষণ খেয়ালি মানুষ। কোমল ও রাগী। ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। শুধু উপন্যাস আর ছোটগল্পের মধ্যেই তিনি সীমাবদ্ধ থাকেননি। রচনা করেছেন কিছু অসাধারণ গান। নির্মাণ করেছেন নাটক, চলচ্চিত্র। এঁকেছেন অনেক ছবি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এনেছেন অভিনবত্ব ও নতুনত্ব। হুমায়ূন আহমেদের বহুমাত্রিক প্রতিভার অনন্য এক উপস্থাপন তাঁর অনাস্বাদিত ভাষায় রচিত নিজ গ্রন্থের উৎসর্গপত্র। বুদ্ধিদীপ্ত, সুরসিক, হৃদয়বান ও গভীর সংবেদী হুমায়ূনের একান্ত এক পরিচয় ফুটে ওঠে তাঁরই রচিত হৃদয়ের গাঢ় নির্যাস ছোঁয়া এইসব উৎসর্গপত্রেও।

৩.

কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম। তাঁর পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। ফয়জুর রহমান আহমেদ পুলিশ বিভাগে চাকরি করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং কর্তব্যরত অবস্থায় পাকবাহিনীর হাতে শহীদ হন। সঙ্গত কারণেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত ছিলেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে কিছুদিন আটক করে রাখে এবং দৈহিক নির্যাতন করে। আর তারই প্রতিফলন দেখি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের হুমায়ূন আহমেদ গুরুত্বের সঙ্গে অত্যন্ত সহজভাবে তুলে আনেন গল্প-নাটক ও সিনেমায়। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’, উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আবার সামরিক স্বৈরশাসকের দম্ভের মাঝে ‘রাজাকার’ শব্দটি তখন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত কোনো অনুষ্ঠানে কারও উচ্চারণ করার সাহস ছিল না। সে সময় হুমায়ূন আহমেদ জাদুকরি কৌশলে তাঁর নাটকের একটি চরিত্র পাখির মুখ দিয়ে উচ্চারণ করালেন ‘তুই রাজাকার’। এ দৃশ্য সে সময়ে যাঁরা দেখেছিলেন, তাঁরা সবাই হুমায়ূন আহমেদের এ অভিনব কৌশল দেখে যেমন বিস্মিত হয়েছিলেন তেমনি ‘রাজাকার’ শব্দটির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি তাদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ঘৃণা, যে ঘৃণা তারা পঁচাত্তর-পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে প্রকাশ করতে পারছিলেন না, উগড়ে দিয়েছিলেন।

৪.                                       

বিংশ শতাব্দীর বাঙালি জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম নাম হুমায়ূন আহমেদ। পারিবারিক পরিমণ্ডলে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার অনুকূল আবহে তাঁর শৈশব জীবন অতিবাহিত হয়। তাঁর পিতার সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ ছিল। তিনি সমকালীন পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতেন। বগুড়ায় অবস্থানকালে দীপ নেভা যাঁর ঘরে শিরোনামে তাঁর একটি গ্রন্থ প্রকাশ হয়। সন্তানদেরও তিনি পড়াশোনার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চার জন্য উৎসাহ দিতেন। তাঁদের মা আয়েশা ফয়েজও লেখালেখি করতেন। ‘জীবন যে রকম’ শিরোনামে তাঁর একটি আত্মজৈবনিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। শৈশবে হুমায়ূন আহমেদের নাম ছিল শামসুর রহমান। তাঁর একটি লেখা থেকে জানা যায়, তাঁদের পিতা ছেলেমেয়েদের নাম পরিবর্তন করতেন। তাই তিনি নিজেই পুত্রের আগের নাম পরিবর্তন করে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। ছয় ভাইবোনের মধ্যে হুমায়ূন ছিলেন সবার বড়। পিতার সরকারি চাকরির সুবাদে তিনি বাংলাদেশের সিলেট, দিনাজপুরের জগদ্দল, পঞ্চগড়, রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, বগুড়া, কুমিল্লা ও পিরোজপুরে অবস্থান করেন। সিলেট জেলা শহরের কিশোরীমোহন পাঠশালায় তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা। ১৯৬৫ সালে তিনি বগুড়া জেলা স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন (রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান) ১৯৬৭ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে বিএসসি (সম্মান) এবং ১৯৭২ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি মহসিন হলে অবস্থান করতেন। পরবর্তী পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে ১৯৮২ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

৫.

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ময়মনসিংহ) প্রভাষক হিসেবে শুরু হয় কর্মজীবন। ১৯৭৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে তিনি অধ্যাপনা পেশা থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং সার্বক্ষণিক সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। এর পাশাপাশি চলে নাটক ও চলচ্চিত্র নির্মাণ। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি একজন ব্যতিক্রমী লেখক। রচনার ব্যাপ্তি, বিষয়ের বৈচিত্র্য, চরিত্র নির্মাণ, রচনাশৈলী, সংলাপ প্রভৃতি মিলিয়ে তিনি এক অভিনব ধারা সৃষ্টি করেন, যা একান্তই তাঁর নিজস্ব শৈলী হিসেবে স্বীকৃত। উপস্থিত বুদ্ধিজাত প্রকাশ ও রসবোধের কারণে তাঁর রচনা সহজেই পাঠকের চিত্ত স্পর্শ করে। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের গতানুগতিক ধারাকে অতিক্রম করে তিনি নির্মাণ করেন এক স্বতন্ত্র ভুবন। একজন সফল লেখক হিসেবে সাহিত্য-শিল্পের বিভিন্ন শাখায় স্বচ্ছন্দ বিচরণ তাঁকে এনে দেয় বিপুল জনপ্রিয়তা। বহুমাত্রিকতা তাঁর রচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৬.

হুমায়ূন আহমেদের ছাত্রজীবনে লেখা ‘নন্দিত নরকে’ শিরোনামের নাতিদীর্ঘ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে আবির্ভাব। ১৯৭২ সালে তিনি উপন্যাসটি রচনা করেন এবং সে বছরই উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। নন্দিত নরকে বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘শঙ্খনীল কারাগার’ (১৯৭৩)। গল্প, উপন্যাস, সায়েন্স ফিকশন, শিশুতোষ গ্রন্থ, নাটক, প্রবন্ধ, আত্মজৈবনিক রচনা প্রভৃতি মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাঁর শেষ উপন্যাস ‘দেয়াল’। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা জনপ্রিয় উপন্যাস ‘জোছনা ও জননীর গল্প’। তাঁকে বাংলাদেশের সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ বলা যায়। তাঁর অন্যতম সায়েন্স ফিকশন ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস ‘মধ্যাহ্ন’ এবং ‘বাদশাহ নামদার’। আত্মজৈবনিক রচনায়ও তিনি স্বচ্ছন্দ। তাঁর ভ্রমণগদ্য এবং স্মৃতিকথাগুলো সুখপাঠ্য। বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তিনি এককভাবেই বইয়ের বাজার তৈরি এবং প্রকাশনা শিল্পে পুঁজির প্রবাহ সৃষ্টি করেন। তাঁর সৃষ্টিশীল লেখার কল্যাণে বাংলাবাজারের অসংখ্য পুস্তক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়। প্রতি বছর অমর একুশে বইমেলায় বিক্রি হওয়া সৃজনশীল গ্রন্থের বড় অংশ হুমায়ূন আহমেদের। তিনি ছিলেন বাংলা একাডেমির বইমেলার প্রধান আকর্ষণ।

৭.

সাহিত্য জগতের সংকীর্ণ দলাদলি বা রাজনীতির সঙ্গে তিনি কখনো জড়িত হননি। তবে দেশ ও  জাতির সমস্যার ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন না। তাই দেশের যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে তিনি সুচিন্তিত মতামত ও বক্তব্য প্রকাশ করতেন। নিজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পিতৃভূমি নেত্রকোনায় তিনি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এ স্কুল নিয়ে তাঁর অনেক স্বপ্ন ছিল, যা জীবদ্দশায় পূরণ করে যেতে পারেননি। নিসর্গ-প্রেমিক তিনি নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে ভালোবাসতেন। তাই গাজীপুরের পিরুজালি গ্রামে স্থাপন করেন ‘নুহাশ পল্লী’ এবং সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে ‘সমুদ্র বিলাস’ নামে বাড়ি। নুহাশ পল্লীকে সাজিয়েছেন নয়নাভিরাম বৃক্ষ, দিঘি ও ভাস্কর্য দিয়ে। প্রায় দুশ প্রজাতির ঔষধি গাছ রোপন করে নির্মাণ করেন একটি উদ্যান এবং তাঁর অকাল প্রয়াত সন্তানের নামে নামকরণ করেন ‘রাশেদ হুমায়ূন ঔষধি উদ্যান’।

৮.

লেখক হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান হিসেবে বিবেচিত হয় বিশাল পাঠক সমাজ তৈরি এবং তরুণ প্রজন্মকে বই পাঠে আগ্রহী করে তোলা। বছর বছর তাঁর রচনার কলেবর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাঠকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তাঁর রচনার পাঠকদের অধিকাংশই তরুণ; স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ। একসময় পশ্চিমবঙ্গের গল্প-উপন্যাসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো এদেশের পাঠকদের। সেই পাঠকশ্রেণিকে তিনি গৃহমুখী অর্থাৎ দেশমুখী করে তোলেন তাঁর জাদুকরি সাহিত্যসম্ভার দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ যে পাঠকসমাজ সৃষ্টি করেছেন তা চিরকালের জন্য বাংলার হয়েই থাকবে। হুমায়ূন আহমেদ পাঠকের এক বিশাল পৃথিবী গড়ে তুলেছেন যেখানে আছে আমাদের স্বকীয়তা, চেতনা, মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতি। তাই হুমায়ূন আহমেদের অনুপস্থিতিতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে অনন্তকাল। সাহিত্য-শিল্পের একটি মুখ্য উদ্দেশ্য মানুষকে বিনোদন ও আনন্দ দেওয়া। এ কাজটি তিনি অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। উনিশ শতকের সমকালীন পটভূমিতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনি শরৎচন্দ্রকে ছাড়িয়ে যান। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য-সমালোচক এবং পাঠকদের কাছেও তিনি শক্তিমান লেখক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। অসামান্য জাদুকর এই কথক, সৃজনীশিল্পী সাহিত্য-সম্ভারেই বেঁচে আছেন পাঠকের চিত্তে। আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন চিরকালের হুমায়ূন আহমেদ হিসেবেই অনন্য সৃজনীসত্তার মাধ্যমে।