বইমেলার সময় বাড়ায় খুশি প্রকাশকরা

Looks like you've blocked notifications!

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে বইমেলা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। উদ্বাধনী অনুষ্ঠানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মেলার সময় বাড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে খুশি লেখক-প্রকাশকরা।

তারা জানান, মেলার সময় বাড়ানো না হলে আমাদের ক্ষতি হতো। কারণ গত বছরও এমন পরিস্থিতিতে পাঠকরা কম আসে। ফলে বইও কম বিক্রি হয়। এতে অনেক প্রকাশকদের ক্ষতি হয়। এখন সময় বাড়ানোর ফলে অনেকেই সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

এর আগে গতকাল রোববার সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ১৭ই মার্চ পর্যন্ত মেলা বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

বইমেলা বাড়ায় সুবর্ণ প্রকাশনীর শাহরিন হক তিথি বলেন, করোনার কারণে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মেলা শুরু হয়। এজন্য মেলা সেভাবে জমেনি। এখন সময় বাড়ানো হয়েছে এজন্য পাঠকরা আরও সময় পাচ্ছেন। তারা মেলায় এসে নিজের পছন্দমতো বই কিনতে পারবেন।

নালন্দা প্রকাশনীর রেদওয়ানুর রহমান বলেন, সময়সীমা বাড়ানোয় আমরা খুশি। তবে এটি আরও আগে বাড়ানো দরকার ছিল। মেলার বাকি দিনগুলোতে বেশি বিক্রি হবে বলে মনে করি।

মেলার সময় বাড়ানোয় শ্রাবণ প্রকাশনীর রবীন আহসান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সময় বাড়বে বলে আমরা ধারণা করছিলাম। নইলে আমাদের অনেক ক্ষতি হতো।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর আমজাদ হোসেন বলেন, ঐতিহ্য অনুযায়ী মেলার সময় এক মাস হওয়া উচিত। সময় বাড়ায় আমরা খুশি। সময় না বাড়লে প্রকাশনা শিল্পে আরও ধস নামতো। অনেক প্রকাশকই ঘুরে দাঁড়াতে পারতেন না।

অন্য প্রকাশের মাজহারুল ইসলাম বলেন, মেলা শুরু থেকেই আমাদের দাবি ছিল, মেলার সময় বাড়ানো। অবশেষে সেই সময় বাড়ছে। তবে, এটি আরও আগে বললে পাঠকরা জানতে পারত। কারণ অনেকে জানতেন মেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। সময় বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের সত্ত্বাধিকারী আদিত্য অন্তর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, মেলা বাড়ায় সাধারণ প্রকাশকদের চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। প্রকাশকরা চেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে তাঁর জন্মদিন (১৭ মার্চ) পর্যন্ত মেলাটা চলুক। তাছাড়া প্রকাশকদের ব্যবসার দিকটা বিবেচনা করলেও সুবিধা হয়েছে। কারণ মেলা শুরু হয়েছিল মাসের মাঝামাঝি। তখন মানুষের হাতে টাকা তেমন থাকে না। মেলা বাড়ায় এখন তারা প্রথম দুই সপ্তাহজুড়ে বই কিনতে পারবেন। মোটকথা মেলা বাড়ায় আমরা প্রকাশরা গত দুই বছরের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব বলে আশা করছি।