‘রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শেখ হাসিনা বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যানুরাগী’

Looks like you've blocked notifications!
বাংলা একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনে শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধন। ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার সৃষ্টিশীলতা’ শীর্ষক সেমিনার ও তিন দিনব্যাপী গ্রন্থ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা একাডেমির ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনে শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রদর্শনী আজ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

অনুষ্ঠানের প্রথমভাগে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিলি ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিকথা থেকে পাঠ করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।

স্বাগত বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সুনীতি, মানস ও দর্শনের সার্থক উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মৌলিক কারুকৃৎ তিনি। দেশ ও জনগণের মাঙ্গলিক অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনা সব সময় তাঁর সৃষ্টিশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কে এম খালিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করে চলেছেন। একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং সাহিত্যানুরাগীও বটে। তাঁর লেখায় বাংলাদেশের মানুসের সুখ-দুঃখ, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ ভাস্বর হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হসিনাকে হত্যার জন্য বহু বার চেষ্টা হয়েছে, তবে তিনি সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ করে জনগণের ভালোবাসায় দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

শেখ হাসিনা : বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার আলোয় শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, শেখ হাসিনা কেবল তাঁর দলের জন্যই নয়, দেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বটে। বঙ্গবন্ধু যেমন আওয়ামী লীগের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন; সাড়ে সাত কোটি মানুষকে চূড়ান্ত স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং স্বাধীনতা আনয়ন করেছিলেন, তেমনই তাঁর রক্ত ও রাজনীতির সুযোগ্য উত্তরাধিকার জননেত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি ষোলো কোটি মানুষকে নিয়ে সব সময় ভাবছেন। নতুন নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবং ক্লান্তিহীনভাবে সেসব স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

আলোচক ড. জালাল আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান। তাঁর চার দশকের রাজনৈতিক পরিক্রমায় সংসদ নেতা ও বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে জাতীয় সংসদকে দেশ পরিচালনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রূপ দিতে সচেষ্ট ছিলেন। সাম্প্রতিক করোনা মহামারি মোকাবেলায় তিনি উদ্ভাবনী দক্ষতায় একদিকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় যেমন দূরদৃষ্টির পরিচয় রেখেছেন এবং সাফল্য দেখিয়েছেন, তেমনই বঙ্গবন্ধু-গবেষণাতেও ইতিহাস-সচেতনতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধু রচিত বই এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সংকলন পাঠ করার সুযোগ পেয়েছি। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বৈরী পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে নিজের দলকে সংগঠিত করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক সাফল্য অর্জন করেছেন।