বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের জাতীয় সম্মেলন
‘চির উন্নত মম শির’ স্লোগানকে ধারণ করে আগামী ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলন উদ্বোধন করবেন লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনের পর র্যালি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে আলোচনা সভা এবং বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে তুরস্ক, জাপান, ভারত, নেপালের প্রগতিশীল লেখকসহ সারা দেশের লেখকরা অংশ নিচ্ছেন।
আজ ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার, বেলা ১১টায় উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের কার্যকরী সভাপতি ও দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের চেয়ারম্যান কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কবি সাখাওয়াত টিপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ও চিত্রশিল্পী মতলুব আলী, অধ্যাপক এম এ আজিজ মিয়া, প্রচার সম্পাদক কবি রহমান মুফিজ, প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শ্যামল, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য কবি ও লেখক দীপংকর গৌতম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কবি ও লেখক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবি ও লেখক হাবীব ইমন, সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য কবি রাহাত মুস্তাফিজ।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নেতারা বলেন, এমন সময়ে প্রগতি লেখক সংঘ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে যখন দেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নানা ধরনের শেকল পরানোর চেষ্টা চলছে। বক্তব্যে আরো বলা হয়, মৌলবাদীদের খুশি রাখতে লেখক আর প্রকাশকদের সৃজনশীল চিন্তায় একের পর এক বাধা দিয়ে যাচ্ছে ‘স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি’ দাবিদার সরকার। উগ্রবাদীদের চাওয়ায় বদলে ফেলা হয়েছে পাঠ্যবই, গ্রেপ্তার হয়েছেন লেখক-প্রকাশক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বইমেলার স্টল।
বক্তারা বলেন, দেশে সৃজনশীল জ্ঞান ও সাহিত্য চর্চায় আছে আরো নানা বাধা। দেশের অপরাপর নিষ্পেষিতগোষ্ঠীর মতো লেখকরাও তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত। সত্যিকার অর্থে লেখকদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলার মতো গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক পাটাতন নেই। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির সীমারেখা। মুক্তবুদ্ধি বিকাশে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আর সমাজকাঠামো দরকার, বাংলাদেশে তা একবারে অনুপস্থিত। লেখক হিসেবে যাঁরা পরিচিত, তাঁরাও তেমন সোচ্চার নন বা বলার কণ্ঠ রুদ্ধ করা হচ্ছে।