সত্যজিৎ রায়ের ১০ কথা
যদি শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকা করা হয় তাহলে সেরা পাঁচে নিশ্চিতভাবে আপনি দুজনকে পাবেন। প্রথমজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্বিতীয়জন সত্যজিৎ রায়। বয়সের বিশাল ফারাক থাকলেও দুজনের জন্ম তারিখের ব্যবধান মাত্র পাঁচদিনের। এরাই বিশ্বকে নতুনভাবে বাঙালিকে চিনতে শিখিয়েছেন। বাংলা সাহিত্য যেমন রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অপূর্ণ তেমনি বাংলা চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায় ছাড়া অসম্পূর্ণ। ‘পথের পাঁচালী’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘আগন্তুকে’র স্রষ্টার আজ ৯৬তম জন্মবার্ষিকী।
১৯২১ সালের ২ মে জন্ম হয় বাংলা চলচ্চিত্রের এই দিকপালের। আইই ট্রেন্ডিংয়ের সৌজন্যে চলুন জেনে আসি এই পরিচালকের সেরা ১০টি কথা বা উক্তি। এই উক্তিগুলো শুধু চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য নয়, ব্যক্তিজীবনেও মেনে চলতেন সত্যজিৎ রায়।
১. সবচেয়ে মূল্যবান ও একমাত্র সমাধানগুলো লোকেরা নিজেরাই খুঁজে বের করতে পারে।
২. যখন আমি মৌলিক কোনো গল্প লিখি তখন আমি এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে লিখি যাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং এমন পরিস্থিতির কথা লিখি যার সঙ্গে আমি পরিচিত। আমি ১৯ শতকের কোনো গল্প লিখি না।
৩. নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ সবসময়ই পাওয়া যায়।
৪. চলচ্চিত্রের দৃশ্যরচনার অভ্যাসকে আমি শখে পরিণত করেছি। আমি খুঁজে বের করতাম কোন গল্পটি চলচ্চিত্রের জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। এরপর আমি নিজস্ব ঢঙে গল্পটি লিখতাম, এরপর আসল গল্পের সঙ্গে করতাম তুলনা।
৫. সবার শেষ কথা— বলতে গেলে সবচেয়ে জরুরি কথা হলো— আপনার প্রয়োজন একটি শুভ সমাপ্তি। যাহোক, এই শুভ সমাপ্তির আগে যদি বিষাদময় পরিস্থিতি এবং চমক সৃষ্টি করতে পারেন তাহলে বিষয়টা আরো ভালো কাজ করে।
৭. আমি অনুভব করি যে নায়কের ছাঁচে থাকা মানুষের তুলনায় রাস্তায় থাকা একটি সাধারণ মানুষকে বিষয় হিসেবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। তাঁদের আধা অন্ধকার, অস্পষ্ট শব্দগুলোই আমি ধরতে চাই, আবিষ্কার করতে চাই।
৮. যখন আপনার কাহিনীতে নতুন কোনো চরিত্রের আবির্ভাব ঘটে, তখন অবশ্যই তার চেহারা ও কাপড়ের বর্ণনা বিস্তারিতভাবে দেবেন। যদি সেটা না দেন তাহলে পাঠক নিজের মতো করে ভেবে নেবে, যেটা আপনি পরে যে বর্ণনা দেবেন সেটার সঙ্গে না-ও মিলতে পারে। তাই…
৯. পরিচালকই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভালোভাবে জানেন যে চলচ্চিত্রটি কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে।
১০. সিনেমায় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসূচক গুণগুলোই মানুষের মনের অন্তরঙ্গ বিষয় ধরতে ও যোগাযোগ ঘটাতে সক্ষম।