বিধাতার রোহিঙ্গা বয়ান

Looks like you've blocked notifications!

খামোশ! শাট আপ! একদম চুপ!

এতো অসভ্যের মতো চেঁচামেচি হচ্ছে কেন?

কার এমন কী ক্ষতি হয়েছে? কোথায় ফোস্কা পড়েছে?

‘গেলো, গেলো, মানবাধিকার গেলো, ওরা পুড়ে গেলো, মরে গেলো’—

কেন এসব ফালতু চিৎকার? খেঁকশেয়ালের মতো সমস্বরে অর্কেস্ট্রা বাজানোর কী হলো?

মরছে তো কতগুলা রোহিঙ্গা। কে বলেছে এরা মানুষ? হু সেইড?

দে আর স্টিঙ্কি সাব হিউম্যান; দে আর টেররিস্টস! ব্লাডি ক্রিমিনালস!

পঙ্গপাল পুড়ে গেলে আর্তনাদ করে কে?

কেউ না। সভ্যতার শত্রু এরা; উৎকট, দুঃসহ।

হাজার বছরের জমে থাকা বর্জ্য বানে ভেসে গেলে ক্ষতি কী? ময়লা তো ভাগাড়েই যাবে। যাচ্ছেও তাই। সবই তো ঠিক আছে।

তবে আর 'হায় হায়' বিলাপ নয়, নয় আগাছা রক্ষার অন্যায্য আবদার।

মানুষ হলে তবেই না মানব-অধিকারের প্রশ্ন; নাগরিক সত্তার প্রশ্ন, প্রশ্ন খাদ্যের, আবাসের, প্রশ্ন সম্ভ্রমের, স্বীকৃতির, উষ্ণতার ।
 

সংহারই তো দুষ্টের আরাধ্য নিয়তি।

তবে অঙ্গচ্ছেদ নিয়ে আর্তনাদ কেন? ধর্ষণে কিসের নন্দনতত্ত্ব খোঁজা?

কেনই বা ছোট-বড়’র শ্রেণি বিভাজন?

কেনই বা বিস্ময়ে নেত্র বিস্ফোরণ?
 

ওহে দ্বিপদ ইতরকুল, বিধাতার কথা শোন : কর আপন শির প্রক্ষালন, আপন ভাগ্য গোন।

কর কণ্ঠনিয়ন্ত্রণ, কর পরিপাক বর্ধন। তোমরা বড় বেভুল, বিস্মৃতপরায়ণ।
 

ভুলে গেছ দেখি ফিলিস্তিন আর কসোভো, চেচনিয়া, ভুলে গেছ দেখি আফগান আর ইরাক, বসনিয়া।

আমরা বিধাতা-মানবতার একক জিম্মাদার

কারা মানব, কারা ইতর—বুঝি চমৎকার।