কোনো কারণ ছাড়াই লিখি : ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়

Looks like you've blocked notifications!

পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি একাধারে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা সংস্থা ‘পত্র ভারতী’র প্রকাশক এবং জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা ‘কিশোর ভারতী’র সম্পাদক। একই সঙ্গে তিনি কলকাতা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর জন্ম ১৯৫৮ সালের ৩০ অক্টোবর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএসসি করেছেন। দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘কিশোর ভারতী’ পত্রিকার মধ্য দিয়ে লেখালেখির শুরু। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘হাত’। প্রথম প্রকাশিত বই ‘ছায়া-মূর্তি’। কিশোরদের জনপ্রিয় চরিত্র ‘জগুমামা’র স্রষ্টা। রহস্য ছাড়াও কল্পবিজ্ঞান এবং ইতিহাসনির্ভর সাহিত্যে এরই মধ্যে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন। আলোচিত গ্রন্থ : ‘তুমি, পিতামহ’, ‘মৃত্যু কে আমি দেখেছি’, ‘বিষাক্ত রাত’, ‘ভৌতিক অলৌকিক’, ‘নীল কাঁকড়ার রহস্য’ প্রভৃতি। লেখালেখি ও সম্পাদনায় অবদানস্বরূপ পেয়েছেন বেশ কিছু পদক ও সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য : ১৯৯০ সালে ‘অমৃতকমল’ পদক, শিশু ও কিশোর সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ২০০৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, ২০০৯ সালে কিশোর ভারতীর সম্পাদনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বিশেষ সংবর্ধনা।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে তিনি ঢাকা আসেন। ব্যস্ততম সময়ের ফাঁকে সংক্ষিপ্ত এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন অঞ্জন আচার্য।

যে বই বারবার পড়ি

গীতবিতান

যে বই পড়ব বলে রেখে দিয়েছি

যশোবন্ত সিংহের ‘জিন্না : ইন্ডিয়া, পার্টিশান, ইনডিপেনডেনস’। প্রায় ছয় মাস আগে প্রফুল্লদা (কথাসাহিত্যিক প্রফুল্ল রায়) দিয়েছিলেন, পড়ার সময় হয়নি

যে চলচ্চিত্র দাগ কেটে আছে মনে

সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালী

যে গান গুনগুন করে গাই

‘তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই’

প্রিয় যে কবিতার পঙ্‌ক্তি মনে পড়ে মাঝেমধ্যে

কোনো কবিতাই আমার ঠিকঠাক মনে পড়ে না। তবুও যা পড়ে তার সবই জীবনানন্দের

খ্যাতিমান যে মানুষটি আমার বড় প্রিয়

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

যে ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না

হাসনাহেনা

যা খেতে ভালোবাসি খুব

ইলিশ মাছ

যা সহ্য করতে পারি না একেবারেই

হিংসা

জীবনে যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী

বাবা

যেমন নারী আমার পছন্দ

এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছি

যেখানে যেতে ইচ্ছে করে

আমার নিজের মাতৃভূমি—বাংলাদেশে

যেভাবে সময় কাটাতে সবচেয়ে ভালো লাগে

বই পড়ে

যে স্বপ্নটি দেখে আসছি দীর্ঘদিন ধরে

সবাই অন্তত দুবেলা দুমুঠো খেতে পারবে

যে কারণে আমি লিখি

কোনো কারণ ছাড়াই লিখি

নিজের যে বইটির প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে

তুমি, পিতামহ

ভালোবাসা মানে আমার কাছে

বিশ্বাস

আমার চোখে আমার ভুল

অজস্র

জীবনে যা এখনো হয়নি পাওয়া

যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি

যে স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে

কৈশোরের সেই দিনগুলো

যা হতে চেয়েছিলাম, পারিনি

বিজ্ঞানী

জীবনের এ-প্রান্তে এসে যতটা সফল মনে হয় নিজেকে

এত সাফল্য আমার প্রাপ্য ছিল না

যা ভালো লাগে—পাহাড় নাকি সমুদ্র?

পাহাড়

যেটা বেশি টানে—বর্ষার বৃষ্টি নাকি শরতের নীল আকাশ?

বর্ষার বৃষ্টি