পাঁচ প্রকাশনা সংস্থার হাতে বাংলা একাডেমির পুরস্কার

Looks like you've blocked notifications!

প্রকাশকদের উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিবছরই তাঁদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজক বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সেসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন বিভাগে এগিয়ে থাকা প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধারদের হাতে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রকাশনা সংস্থাগুলো হলো পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স, কথাপ্রকাশ, প্রথমা প্রকাশন, জার্নিম্যান বুকস ও চন্দ্রাবতী একাডেমি।

গত সোমবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৫তম দিনে বাংলা একাডেমি পরিচালিত চারটি গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার ঘোষণা করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। পুরস্কার ঘোষণায় একাডেমির মহাপরিচালক জানান, ২০১৮ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ এবং অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্যাভিলিয়নের নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্যাভিলিয়ন হিসেবে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাঞ্জেরী ছাড়াও এক ইউনিট স্টল হিসেবে ‘মধ্যমা’, বহু ইউনিট স্টল হিসেবে ‘বাতিঘর’ পেয়েছে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার।

এ ছাড়া ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’, ২০১৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে গোলাম মুরশিদের ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত : নজরুল-জীবনী’ গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মইনুদ্দীন খালেদের ‘মনোরথে শিল্পের পথে’ গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুকস ও মারুফুল ইসলামের ‘মুঠোর ভেতর রোদ’ গ্রন্থের জন্য চন্দ্রাবতী একাডেমিকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯’ দেওয়া হয়।

গতকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় প্রকাশনা সংস্থাগুলোর স্বত্বাধিকারীদের হাতে।