সাক্ষাৎকার

নিজেকে জানার বাসনা আমার তীব্র : সঙ্ঘমিত্রা হালদার

Looks like you've blocked notifications!

সঙ্ঘমিত্রা হালদার লেখালেখি করছেন এক যুগের বেশি সময় ধরে। একই বছরে তিনটি পত্রিকায় প্রথম তাঁর লেখা প্রকাশ পায়—গ্যাবিটো, প্রেসিডেন্সি কলেজ ম্যাগাজিন ও লালন পত্রিকায়। পরবর্তীকালে ধারাবাহিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের দেশ পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশ হয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর দুটো বই বেরিয়েছে—নামানো রুকস্যাক (২০১০, পত্রলেখা প্রকাশনী) এবং দীর্ঘ-ঈ (২০১৪, পাঠক প্রকাশন)। এনটিভি অনলাইনের জন্য সঙ্ঘমিত্রার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন অঞ্জন আচার্য। এই সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘমিত্রা কথা বলেছেন বাংলাদেশের লেখকদের সম্পর্কে; বলেছেন নিজের লেখক হয়ে ওঠার পেছনকার কথা।

অঞ্জন আচার্য : কেমন আছেন?

সঙ্ঘমিত্রা হালদার : আছি। যেমন থাকে জল-হাওয়ার মানুষেরা।

অঞ্জন : লেখালেখির পোকাটা কীভাবে মাথায় ঢুকল আপনার?

সঙ্ঘমিত্রা : সেটা ২০০০ সাল। মাকে হারিয়েছি তার বছর তিনেক আগে। মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে প্রায় একা। আর গোগ্রাসে গিলছি বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ… এই নয় যে এগুলো আমি প্রথমবার পড়ছি সেই সময়। কিন্তু আগে ‘বড়দের বই’-এর তাকে হাত দিতে গেলে যে বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে হতো, সেই বেড়া হঠাৎই যেন উঠে গেছে খেয়াল করলাম। ফলে প্রথম স্বাধীনতার আস্বাদন আমিও চেটেপুটে খাচ্ছি। এ রকম একটা সময়, আমার নামে সেই প্রথম—সম্পূর্ণ আমার জন্য একটা চিঠি এলো। সে সময় ধারেকাছে কেউ ছিল না আমার আনন্দটার ভাগ নিতে পারে। ফলে সেই প্রথম আস্ত একটা লেখা তৈরি হলো। অনেকটা আমার আনন্দটাকে, আমাকে বোঝার জন্য। আমাকে খানিকটা সঙ্গ দিতেও। লেখাটা ফেয়ার করার জন্য বিকেলের দিকে বেরিয়ে একটা সাদা খাতাও কিনে এনেছিলাম মনে পড়ে।

অঞ্জন : আপনার বেড়ে ওঠার গল্পটি শুনতে চাই...

সঙ্ঘমিত্রা : ছোটবেলায় খুব ঘরকুনো টাইপের ছিলাম। এখনো যে খুব বদলেছে, তা নয়। মা ছিলেন যাকে বলে প্রকৃত অর্থে সংগীতপিপাসু। সেইসব গান (সংগীত) আমি কিছুই প্রায় বুঝতাম না। খুব একটা যে ভালো লাগত, তাও নয়। কিন্তু কেন জানি না, সে সময় খুব গান লেখার ও তাতে সুর দেওয়ার ইচ্ছা হতো। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে ‘গানের লড়াই’ খেলতে গিয়ে দু-এক লাইন মুখে মুখে বানিয়ে তৎক্ষণাৎ গেয়েও দিতাম ছোটবেলায় (তবে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে আমি গাইতে পারি)। বন্ধুদের কেউ ‘আগে তো শুনিনি গানটা’—এ অভিযোগ আনলে রবিঠাকুরের দোহাই দিতাম। এর সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধের গোপন আকর্ষণের মতো ছিল—পড়ার বইয়ের তলায় বড়দের বই পড়া। মাকে ছোটবেলায় লিখতেও দেখতাম। যদিও সেগুলো কোথাও প্রকাশিত হয়নি। ফলে ছোটবেলায় নিজে না লিখলেও স্মৃতিতে ছিল লেখার অভ্যাস।

অঞ্জন : বাংলা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ জন্মাল কীভাবে?

সঙ্ঘমিত্রা : বাড়িতে যেহেতু ‘বড়দের বই’ বলে একটা আলাদা সীমারেখা ছিল, ফলে নিষিদ্ধ ফলের মতো ছিল তার প্রতি আকর্ষণ। যেকোনো বিধিনিষেধই তো আসলে বাড়তি মনোযোগ সৃষ্টি করে। তা ছাড়া কোনো কিছুতে একবার রসের সন্ধান পেয়ে গেলে তা এড়ানোর মতো শক্তিশালী হাত সবার থাকে না। আমারও ছিল না।

অঞ্জন : আপনার লেখালেখির পেছনে কোন কোন লেখক প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন কিংবা এখনো করে যাচ্ছেন?

সঙ্ঘমিত্রা : যেকোনো মহৎ ও সম্ভাবনাময় লেখার লেখকই আমার প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন। করে চলেছেন এবং আগামী দিনেও সম্ভবত করবেন। চর্যাপদ, বৈষ্ণবপদাবলী, একসময় বঙ্কিমের উপন্যাস, বিদ্যাসাগরের গদ্যভাষা, লালন শাহ-এর গান, রবীন্দ্রনাথের গান-প্রবন্ধ-নাটক-ছোটগল্প, জীবনানন্দ, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’, ‘অলৌকিক জলযান’, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ও নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্প, শঙ্খ ঘোষ, জয় গোস্বামী (কলেজজীবনে জয়ের ‘রৌদ্রছায়ার সংকলন’ ও ‘হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ’ আমার কাছে প্রায় ধর্মগ্রন্থের মতো ছিল; আর সে সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর রিলকে ও বোদলেয়ারের অনুবাদ ভূমিকা ও বক্তব্যসহ), স্বদেশ সেন, শ্যামলকান্তি দাশ, প্রবীর দাশগুপ্তের একটি চটি কবিতার বই, উৎপলকুমার বসু, ভাস্কর চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ, অমিতাভ মৈত্র, বুদ্ধদেব বসু, চিন্ময় গুহ ও আর্যনীল মুখোপাধ্যায়ের (কবিতাবিষয়ক) প্রবন্ধ, অনুবাদ... দেবারতি মিত্র, মনীন্দ্র গুপ্তের গদ্য, অমিতাভ দাশগুপ্তের গদ্য, গৌতম চৌধুরী, শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত সরকার, স্বপন রায়... এ রকম আরো অনেকের লেখা আমার সমবয়সী তিন-চারজন কবিবন্ধুর লেখা... এখানে বেশ কিছু নাম বাদ গেল আমি নিশ্চিত। তবে এই লিস্ট বাড়ানোর চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, এঁদের লেখাই বাংলা বাজারে বেশকিছু আবর্জনা-বাড়ানো লেখাকে শনাক্ত করতে শিখিয়েছে!

অঞ্জন : আপনার লেখাগুলোর রসদ আপনি কোথা থেকে পেয়েছেন? এসব লেখায় ব্যক্তি আপনি কতখানি উপস্থিত আছেন?

সঙ্ঘমিত্রা : (জয়ের একটি কবিতার অনুকরণে) জল থেকে—হাওয়া থেকে—পাশের নিশ্বাস থেকে। যেকোনো টেক্সট... যা আমার ভালো লাগে বা লেগেছে। তা সিনেমা, কোনো কারোর বিশেষ একটি অভিনয়, একটি প্রতিবাদের শরীরী ভাষা, প্রিয় কোনো ভঙ্গি, দৃশ্য, গান, একটা চামচ রাখার আওয়াজ, একটা তাকানো, পাশের বাড়ির রেওয়াজ, পাশের জানালা চুইয়ে আসা গানের আবছা স্মৃতি, একটি বিশেষ গলার আওয়াজ, সম্বোধন, কোনো একটা লেখা বা সুর যা আমার অনাবিষ্কৃত ছায়াপথের হদিস দিচ্ছে বা তার যে থাকা সম্ভব অন্তত তার একটা আবছা অস্বস্তি দিচ্ছে... এ রকমই খুব সামান্য আমার রসদ। আমার কেটে দেওয়া অক্ষর, এমনকি আমার লেখা বাজারের ফর্দ সবেতেই আমি থাকি। নিজেকে জানার বাসনা আমার খুব তীব্র। ফলে তারতম্য করব কীভাবে!

অঞ্জন : দেশ পত্রিকায় কবে প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়েছে? শুরুটা জানতে চাই।

সঙ্ঘমিত্রা : ২০১১ সালে। শারদ-সংখ্যার জন্য ‘দেশ’-এর তরফ থেকে লেখা পাঠানোর জন্য চিঠি এসেছিল আমার কাছে। তার কিছুদিন আগে ওই বছরেই কবি বিভাস রায়চৌধুরী ‘দেশ’-এর বইমেলা সংখ্যায় আমাদের একুশ-শূন্যের কয়েকজনকে নিয়ে আলোচনা করেন, সেখানে আমার প্রথম বইটা (তখন পর্যন্ত ওই একটাই বই) নিয়ে বিভাসদা আলোচনা করেন। তার পর চিঠি, ‘দেশ’-এর সম্পাদকের পক্ষ থেকে। শারদ-সংখ্যার জন্য লেখার আমন্ত্রণ। আমি লেখা পাঠাই। এবং ছাপাও হয়। পরবর্তীকালে ‘দেশ’-এর সম্পাদক শ্রী হর্ষ দত্তর সঙ্গে আমার দূরভাষে কথা হয় পত্রিকার প্রাপ্তিসংবাদ ইত্যাদি বিষয়ে। উনি খুবই সজ্জন মানুষ। আমাকে খুব আন্তরিকভাবে লেখা পাঠাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু নানা কারণে আমার আর লেখা পাঠানো হয়ে ওঠেনি তখন। খুব সম্ভবত লেখা চাওয়ার বছর চারেক পর, একবার পাঠিয়েছিলাম। তার খবর আমি জানি না। আর ‘দেশ’-এর অধিকাংশ লেখাই তো এখন পাতে দেওয়ার মতো নয়।

অঞ্জন : বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গে নতুনদের মধ্যে কাদের লেখা আপনার পছন্দ?

সঙ্ঘমিত্রা হালদার : এই সময়ে অনেক তরুণই সম্ভাবনার আলো, আশা দেখাচ্ছেন। অনেকেরই সাহিত্যে বিষয়ে রুচি খুব পরিচ্ছন্ন। তাঁরা একটা কিছুর খোঁজে আছেন। তবে সবার লেখাই আমি পড়ে উঠতে পারিনি এখনো। আমার নির্বাচনের বাইরেও নিশ্চয়ই কেউ কেউ থাকবেন। তাই নাম বলে বিভ্রান্ত করতে চাই না।

অঞ্জন : বাংলাদেশের কবিতা-গল্প-উপন্যাস সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? বিশেষ কারো লেখা ভালো লাগে?

সঙ্ঘমিত্রা : প্রথমেই বলি, আমি মূল্যায়ন করার কেউ নই। আমি এক তৃষ্ণার্ত-ক্ষুধার্ত পাঠক মাত্র। ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস... এঁদের লেখা আমাকে ভীষণভাবে প্রাণিত করে। ভালো লাগে আল মাহমুদের গল্প। একসময় হুমায়ূনও পড়েছি। কবিতায় মাসুদ খান, মেসবা আলম অর্ঘ্য, মজনু শাহ্‌, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, জফির সেতু, জাহেদ সরওয়ার... এঁদের লেখা যা কিছু পড়ার সুযোগ পেয়েছি পড়েছি। ভীষণ রকম শক্তিশালী কবি এঁরা। তবে অনুশোচনা হয়, যদি দুই বাংলার বইপত্র আর একটু বেশি রকম পাওয়া যেত, নাগালের মধ্যে।

অঞ্জন : পশ্চিমবঙ্গের যে পরিমাণ বই বাংলাদেশে পাওয়া যায়, সে তুলনায় বাংলাদেশের বই পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া যায় না। এতে করে বাংলাদেশের অনেক শক্তিশালী লেখকদের লেখাও পশ্চিমবঙ্গের পাঠকের কাছে পৌঁছায় না। অনেক পাঠক বাংলাদেশি অনেক বড় বড় লেখকের নাম পর্যন্ত শোনেননি। এই ব্যর্থতার হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় কী হতে পারে বলে আপনার অভিমত?

সঙ্ঘমিত্রা : বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের বই কতটা বা কেমন পাওয়া যায়, আমি ঠিক জানি না। তবে বন্ধুদের মুখে একটা আন্দাজ পাই। বা ফেসবুকে সম্পূর্ণ অচেনা কেউ যখন বলেন যে, বাংলাদেশে আপনি কিন্তু খুব বিখ্যাত, বা বাংলাদেশের কবিতা-জগতে আপনি কিন্তু খুব পরিচিত নাম, তখন সাহিত্যের প্রতি তাঁদের উন্মাদনাটা টের পাই। আর বাংলাদেশে যে পশ্চিমবঙ্গের বইপত্র কিছুটা বেশি পাওয়া যায়, তার জন্য আমার ধারণা বাংলাদেশের পাঠকদের ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ, যত্ন অনেক বেশি পরিমাণে দায়ী। তাঁরাই যত্ন করে খোঁজখবর রাখেন। সংগ্রহ করেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে যাঁদের চেষ্টা আছে, মানে আমরা যাঁরা চেষ্টা করি বাংলাদেশের বইপত্র পেতে, আমাদের হাতে তেমন কোনো উপায় বাকি থাকে না। যৌথ উদ্যোগে দুই বাংলায় বইয়ের একটা বিক্রয়কেন্দ্র খোলা যেতে পারে। সে সঙ্গে যদি সম্ভব হয় যৌথ উদ্যোগে একটা মাসিক বাণিজ্যিক-পত্রিকা। তবে সেই পত্রিকা তার মানের সঙ্গে আপস করলে সবটাই মাটি। জলহীন, রুক্ষ্ম, খটখটে।

অঞ্জন : অভিযোগ আছে, বাংলাদেশের অনেক নবীন-প্রবীণ লেখকের ভালো ভালো লেখা পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা শারদীয় সংখ্যা তো দূরে থাক, সাধারণ সাহিত্য পাতায়ও প্রকাশিত হওয়ার জন্যও মনোনীত হয় না। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ পত্রিকার সাহিত্য পাতা তো বটেই, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় (ঈদসংখ্যা) পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের সবিশেষ উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এ বৈষম্য কেন বলে মনে হয়? এটা কি বাণিজ্যিক, নাকি রাজনৈতিক?

সঙ্ঘমিত্রা : এই অভিযোগ কতখানি সত্যি, আমি জানি না। আমার চাক্ষুস কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গের অনেক পত্রিকায় সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু নবীনের লেখা প্রকাশিত হয়। যদ্দূর জানি প্রবীণরাও লেখেন। হিমুর উপন্যাস তো আমি ‘দেশ’ পত্রিকার শারদ-সংখ্যায় পড়েছি! আর মেসবা আলম অর্ঘ্য, রাদ আহমেদ—এঁদের লেখা তো আমি পশ্চিমবঙ্গের পত্রিকাগুলোতেই মূলত পড়েছি। ‘কবিসম্মেলন’ শারদ-সংখ্যায় বাংলাদেশের বেশ কিছু লেখক লিখে থাকেন। ‘কৌরবে’ও অনেকে লেখেন। আর আন্তর্জালের দুনিয়ায় তো এই সীমারেখা আস্তে আস্তে উঠছে।

অঞ্জন : দুই বাংলার সাহিত্যের সম্মিলন কীভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? এ ক্ষেত্রে যদিও লিটলম্যাগগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আপনি নিজেও লিটলম্যাগে লেখেন। তারপরও...

সঙ্ঘমিত্রা : একই সঙ্গে আন্তরিক ও মানের সঙ্গে আপস না করে যৌথ লেনদেনে এটা সম্ভব। এ ছাড়া আলাপ-আলোচনা-সমালোচনায়। এ ক্ষেত্রে শুধু দুই বাংলা নয়, প্রবীণ-নবীন সম্মিলনও জরুরি।

তা ছাড়া ভালো সাহিত্য একবার চুইয়ে যেতে পারলেই সে তার স্বভাবধর্মে এগোতে থাকে। ছড়িয়ে পড়ার জন্য বিশেষ জোর-তদবির বোধ হয় লাগে না। অন্তত আমার এমনটাই বিশ্বাস। অনেক ষড়যন্ত্র সেখানে রুখে দেওয়া যায়। তবে সবার আগে, সবচেয়ে আগে পাঠককে তৈরি হতে হবে; তারও আগে পাঠককে আন্ডার এস্টিমেট না করে ভুসিমালের সাপ্লাইগুলো সিজ করতে হবে। রাতারাতি।

অঞ্জন : সাহিত্য প্রসারে ব্লগ, অনলাইন পত্রিকা বা ওয়েব ম্যাগাজিনগুলো কতখানি ভূমিকা রাখছে বলে আপনি মনে করেন?

সঙ্ঘমিত্রা : সাহিত্য প্রসারে এদের অবদান ভীষণ রকম পজিটিভ। তবে অভয়ারণ্যের সব গর্জনই বাঘ বা সিংহের, তা নাও হতে পারে। এমনকি কোনো অভয়ারণ্যে একটাও বাঘ বা সিংহ নাও থাকতে পারে। আর কিছু নয়, কেবল সম্ভাবনাই ইনফাইনাইট।

অঞ্জন : এতক্ষণ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

সঙ্ঘমিত্রা : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!